আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। শিশু-কিশোরদের মনের স্বপ্নই তাকে সফলতার মঞ্জিলে পৌছে দেয়। সেই স্বপ্ন গড়তে সন্তান এসেছে মায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে, মা সন্তানকে দেখাচ্ছেন তার ক্লাসরুম এবং বর্ণনা করছেন বর্ণিল স্মৃতিমালা, যেখানে তিনি কাটিয়েছিলেন পাঁচটি বছর। এমনই অনুপ্রেরণাময় একটি দৃশ্য দেখা দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) চবির ৩৩মত ব্যাচের পুনর্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় দেড় যুগ পরে 'আবার আসিব ফিরে বর্ণিল এই প্রাঙ্গণে' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মিলিত হয় এই সাবেক শিক্ষার্থীরা।
সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম।
সবুজ অরণ্যে ভরপুর চবি ক্যাম্পাস কারো কাছে ভালোবাসা-আবেগের নাম। যেখান থেকে শিক্ষা অর্জন করে তারা স্কুল,কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা বা অন্য কোনো পেশাজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমান সহযোগী অধ্যাপক এ. জি. এম. নিয়াজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ৩৩ তম ব্যাচের আজকের এই মিলনমেলা বন্ধুদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পূর্ণতা পেয়েছে। প্রায় ৬০০ পুরনো বন্ধু একত্রিত হয়েছে আজ। দূর-দূরান্ত এবং দেশের বাইরে থেকেও অনেকে এসেছে তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। দীর্ঘসম পরে সবাইকে পেয়ে নস্টালজিক হয়ে গেছি বলা চলে।
গণিত বিভাগের ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মঈনউদ্দীন, যিনি বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, স্ত্রী ও দু-সন্তানকে নিয়ে এসেছি। তাদেরকে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। আমি ১৯৯৮ সালে এই ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়েছিলাম। এখন ২০২৩ সাল কিন্তু আমি ১৯৯৮তেই যেন ফিরে গেছি। শহর থেকে শাটল ট্রেনে করে বন্ধুদের সাথে আসা সেইসাথে পুরনো বন্ধুদের পেয়ে মনে হচ্ছে যেন সেই ১৯৯৮ সালে ফিরে গেছি। এরকম একটা অনুষ্ঠানের যারা আয়োজন করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াসহ আরো অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল