আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে সিলেটে লাখো জনতাকে ওয়াদা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আগামী যে নির্বাচন হবে, সে নির্বাচনে আমরা সবার কাছে নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট চাই। নৌকা স্বাধীনতা দিয়েছে, উন্নয়নের পক্ষে নৌকা এগিয়ে নিচ্ছে।’
মঙ্গলবার সিলেটে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে, সিলেট নগরীর আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিকাল ৪টায় বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সিলেট সফর করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামলেন শেখ হাসিনা। তিনি নিজের বক্তব্যেও এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
দীর্ঘ ৩৯ মিনিটের বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়লাভ করে চারবছর পূর্ণ করে এখন পাঁচ বছরে পদার্পণ করেছি। আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনকে সামনে নিয়ে আমরা নির্বাচনী প্রচারণা পূণ্যভূমি সিলেট থেকে শুরু করেছি। বিগত নির্বাচনে নৌকায় সবাই ভোট দিয়েছিলেন। তাই আজ বাংলার সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁঁয়া লেগেছে।’
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আলিয়া মাঠে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে ৩৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তূপ বাংলাদেশকে গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, জাতির জনককে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট নির্মমভবে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ এর পর বাংলার মানুষের উন্নয়নের চাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সংবিধান লঙ্ঘন করা শুরু হয়েছিল। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে উন্নয়ন শুরু হয়।’
প্রধানমন্ত্রীর এই সমাবেশকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে সিলেটে চলছিল সাজ সাজ রব। মঙ্গলবার সকাল থেকে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আলিয়া মাদরাসা মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন।
আলিয়া ময়দানের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি সিলেটসহ সারাদেশে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। ২০০৪ সালে হযরত শাহজালালের মাজারে গ্রেনেড হামলা হয়। পরপর দুবার গ্রেনেড হামলায় ৯ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। ৭ আগস্ট আমাদের সাবেক মেয়র কামরানের উপর আক্রমণ হয়। সে আক্রমণে আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া একাধিকবার কামরানের উপর হামলা হয়েছে। মহিলা আওয়ামী লীগের উপর বোমা হামলা হয়।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির হত্যাযজ্ঞ সারাদেশে চলে। তাদের হাত থেকে মা-বোনেরা রেহাই পায়নি। সারাদেশে অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করে নির্যাতন চালানো হয়, বহু নেতাকে গুম করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সে নির্বাচন ঠেকানোর নামে সন্ত্রাস-নাশকতা চালায়। সিলেটে শহীদ মিনারে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ২০১৩. ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি দেশে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালায়। আমরা গাছ লাগাই, তারা গাছ কাটে; আমরা রাস্তা বানাই, তারা রাস্তা কাটে। আমরা কঠোর হস্তে সেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করি। বিএনপির সময় বাংলা ভাই, আবদুর রহমান তৈরী হয়, সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা হয়। বিএনপি ঢাকায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে আমাদের নেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করতে জানে। বিএনপি পেট্রোল বোমায় মানুষ মেরেছে। তাদের আগুন, পেট্রোলবোমায় বহু মানুষ জীবন দিয়েছে। তারা প্রায় ৫শ’ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। প্রায় তিন হাজার মানুষ তাদের আগুন সন্ত্রাসের শিকার হয়ে এখন ধুঁকছেন। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে তিন হাজার ৩৬ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তারা হাজার হাজার গাড়ি, সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। এরকম ধ্বংসাত্মক আন্দোলন আমরা দেখিনি।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন হবে মানুষের জন্য। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন ধ্বংস করার জন্য। তারা পারে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করতে। বিপরীতে আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করে, উন্নয়নে বিশ্বাস করে, জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করে।’
‘আজ সিলেট থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সিলেট এসেছি আপনাদের উপকার করতে। আজ অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। সামনে আরো কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হবে, সেগুলোর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে।’ নিজের বক্তব্যে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেশে বিদ্যুতের জন হাহাকার ছিল। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে পেয়েছিলাম মাত্র ১৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আজ আমরা দেশে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমরা কম্পিউটারের উপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করে তা সহজলভ্য করেছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা শিক্ষার হার ৬৫.৫ ভাগে উন্নীত করেছিলাম। বিএনপি ক্ষমতায় এসে সাক্ষরতার হার কমিয়ে ৪৫ ভাগে নিয়ে আসেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা এ হারকে ৭২ ভাগের উপরে নিয়ে গেছি। আমরা প্রতিটি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। বিভিন্ন বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয় করছি, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করে শিক্ষাকে বহুমুখী করে দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ দেশে ১৪ কোটি সিমকার্ড ব্যবহৃত হয়। ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করছি। মাত্র ১০টাকায় কৃষক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। দুই কোটির উপর কৃষক উপকরণ কার্ড পাচ্ছে। এক কোটির উপর কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ভর্তুকির টাকা পাচ্ছে। যেখানে যে বন্যায় আক্রান্ত, সেখানে বীজ, সারসহ অনান্য উপকরণ আমরা দিচ্ছি। কৃষকের ঋণ আদায় যেন স্থগিত থাকে তার ব্যবস্থা করছি। সিলেটের চা উৎপাদন যেন বৃদ্ধি পায়, তার ব্যবস্থা করছি। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন, তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থা করছি। সিলেট থেকে যাতে চায়ের নিলাম হয়, তার জন্য নিলাম কেন্দ্র করছি। দেশের প্রত্যেক এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। সিলেটে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। ঘরে বসে প্রবাসে থাকা স্বজনদের সাথে কথা বলার প্রযুক্তিগত সুযোগ আমরা দিয়েছি। ৮ হাজার ৫শ’ পোস্ট অফিসকে আমরা ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তর করেছি। ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনা পয়সায় স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি, ওষুধ দিচ্ছি। সিলেটে আমরা একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য, গ্রামের জনগণের উন্নতি। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, দশের প্রতিটি মানুষ পেট ভরে খাবার খাবে। একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। আমরা জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। আজ আমরা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি। যারা হতদরিদ্র, শ্রমিকশ্রেণি, সেই সব মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন সময়ের জন্য ভাতা দিচ্ছি। ছেলে মেয়েরা যেন উচ্চশিক্ষা নিতে পারে, সেজন্য প্রাইমারি থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি দিচ্ছি। দেশকে উন্নত করতে হলে, জাতিকে দারিদ্রমুক্ত করতে হলে জাতিকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের টাকায় আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পায়। প্রবাসীদের জন্য তিনটি ব্যাংক স্থাপনের অনুমতি হয়ে গেছে। আমরা চাই, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশেল সুনাম হয়। দেশ পুরস্কার পায়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গিবাদ , সন্ত্রাস হয়ে যায় তাদের মূল কাজ। এই দেশকে উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৯ সালে আ.লীগ ক্ষমতায় না আসলে দেশে এতো উন্নয়ন হতো হনা। আ.লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় না। নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে দেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল হয়েছে। আমরা কথা দিয়েছিলাম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। তা করেছি। জাতির জনকের খুনিদের বিচার করেছি। বাংলার মাটিতে জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। প্রত্যেক মা, বোন, শিক্ষক, সচেতন নাগরিক, সকল অভিভাবক সবাইকে নিজেদের ছেলেমেয়েদে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তারা কোথায় যায়, কার সাথে মিশে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী বেশিদিন অনুপস্থিত কিনা, তা খেয়াল রাখতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। ইসলাম জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সিলেট আজ শান্তির নগরী। এই শান্তি যেন বজায় থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে, যাতে সিলেটের সকল পাড়া-মহল্লায় শান্তি বজায় থাকে। আমরা বীরের জাতি, বিজয়ী জাতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এ দেশকে আমরা উন্নত করে গড়ে তুলবো। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যের জন্য বাংলাদেশকে কারো কাছে ভিক্ষা চাইতে হবে না। আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। আপনারা শুনলেন অবাক হবেন, বিএনপির খালেদা জিয়া, তাদের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। তাতে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা ভিক্ষা করতে চাই না। যারা নিজেদেরকে ভিক্ষুক হিসেবে অন্যের কাছে পরিচিত করতে চায়, তারা কিভাবে দেশের উন্নয়ন করবে। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্ব দরবারে সম্মানের সাথে এগিয়ে যাবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী যে নির্বাচন হবে, সে নির্বাচনে আমরা সবার কাছে নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট চাই। নৌকা স্বাধীনতা দিয়েছে। উন্নয়নের পক্ষে নৌকা এগিয়ে নিচ্ছে।’ তিনি হাত তুলিয়ে উপস্থিত জনতাকে নৌকায় ভোট দেয়ার ওয়াদা করান।
নিজের বক্তব্যে প্রয়াত মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, শাহ এএমএস কিবরিয়া, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, দেওয়ান ফরিদ গাজী, আহসান উল্লাহ মাস্টারসহ প্রয়াত জাতীয় নেতাদের স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, আ.লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে মোমেন প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, তৌফিক-ই-এলাহী, আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম কবির রব্বানি চিনু, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম