নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে এবং সিলেটে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে গত ৩০ জানুয়ারি সিলেট দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখার পাশাপাশি সিলেটের ৩ ওলী হজরত শাহজালাল (র.), শাহপরাণ (র.) এবং গাজী বোরহান উদ্দিন (র.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
সিলেট মাজার ও বিমানবন্দরে শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার সুযোগ পান সিলেটে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতারা। এসব নেতাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় আলাদা পাস কার্ডের। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতৃবৃন্দ ছাড়া কেউই এ পাস কার্ড পাননি।
কিন্তু, এর উল্টোও ঘটেছে সিলেট মহানগর যুবলীগে। সিলেট মহানগর যুবলীগ এখন চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকা অনেক নেতা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সুযোগ না পেলেও মহানগর যুবলীগের পরিচয় ব্যবহার করে এই পাসকার্ড পেয়ছেন দেলোয়ার হোসেন, শাকারিয়া হোসেন শাকির, মনসুর আহমদসহ অনেক ব্যক্তি। তারা কেউই মহানগর যুবলীগের সদস্য নন। সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও তাদের কার্ডে পরিচয় হিসেবে লেখা হয়েছে মহানগর যুবলীগের সদস্য। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সিলেট মহানগর যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের দাবি সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও যারা প্রধানমন্ত্রী পাস কার্ড পেয়েছে তারা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তির আশীর্বাদপুষ্ট। তিনিই তাদের এই কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানা রকমের বক্তব্য উপস্থাপন করছেন যুবলীগের পদধারী নেতারা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুক্তি বলেন, এই পাস ইস্যুর দায়িত্ব আমার নয়, এখানে আমার কোন হাত নেই। এটি সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, এসএসএফ এবং প্রশাসনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। আমি কমিটির সবার নাম পাঠিয়েছি পাসের জন্য কিন্তু এসএসএফ সবাইকে পাস দেয়নি। যারা এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করছেন তারা প্রতিহিংসা থেকে লিখছেন। তারা পাস না পাওয়ায় এ ধরনের কাজ করছেন।
সদস্য না হয়েও পাস পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি শুনেছি কয়েকজন মহানগর যুবলীগের না হয়েও পদ ব্যবহার করে পাস কার্ড নিয়েছেন। এখানে আমি কাউকে পাস দেইনি বা দেওয়ার সুযোগও নেই। কেউ যদি ব্যাক্তিগতভাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাহায্যে পাস নিয়ে থাকে সেটি আমার জানা নেই।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মুশফিক জায়গিরদারও। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাস নিয়ে মহানগর যুবলীগের সৃষ্ট এই ঘটনায় আমরা খুবই ব্যথিত। প্রকৃত সদস্যরা পাস কার্ড না পেলেও পেয়েছে ভুয়া পরিচয়দানকারী সদস্যরা। আমরা এ ঘটনার ব্যাপারে কঠোর হচ্ছি। কে বা কারা এসব করেছে সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের সহায়তা নিয়ে আমরা এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেব।
বিডি প্রতিদিন/৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা