সিলেটে কুয়েত ফেরত প্রবাসী কয়সর আহমদ খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার নিহতের চাচা হাজী নূর উদ্দিন বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামী করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নলকট গ্রামের সোনাউল্লাহ’র ছেলে আবদুল বারিক ও বারিকের স্ত্রী পিয়ারা বেগম।
কয়সর আহমদকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে বিএনপি সমর্থকদের হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আশফাক আহমদ।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করছে বিএনপি। পূর্ববিরোধের জের ধরে সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপির উপর চাপানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করছেন দলটির নেতারা। জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা বাসা-বাড়ি থাকতে পারছে না। গ্রেফতারের ভয়ে তারা ঘরছাড়া। সুতরাং বিএনপির নেতাকর্মী বা সমর্থকরা আওয়ামী লীগের কর্মীর উপর হামলা করার অভিযোগ অসত্য ও কাল্পনিক।
এ ব্যাপারে সিলেটের জালালাবাদ থানার ওসি শাহ্ হারুনুর রশীদ জানান, পূর্বশত্রুতা ও নির্বাচনী বিরোধ নিয়ে কয়সর আহমদ খুন হয়েছেন বলে বাদী এজহারে উল্লেখ করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলেও জানান ওসি।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮/মাহবুব