সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে পাথর সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি এবং পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখার কর্মসূচি এসেছে। পাথর আহরণ, বিক্রয় ও বিপণণসহ এই খাতে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে গঠিত ‘বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সোমবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। এই সময়ের মধ্যে কোয়ারি খুলে দেওয়া না হলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে সিলেট বিভাগজুড়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি ডাকার হুঁশিয়ারি দেন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আব্দুল জলিল মেম্বার ও সদস্যসচিব মো. নুরুল আমীন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল। তিনি বলেন, ‘সিলেটের ৪টি কোয়ারি থেকে পাথর আহরণ, বিক্রয় ও পরিবহনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ জড়িত। এক বছর ধরে কোয়ারিগুলো স্থবির হয়ে পড়ায় প্রায় ৬ লাখ পাথর শ্রমিক বেকার হয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। কোয়ারিগুলো থেকে পাথর পরিবহন বন্ধ থাকায় সিলেটের পণ্য পরিবহন খাত এখন ধ্বংসের পথে। ব্যবসায়ীরাও আর্থিক ক্ষতির মুখে রয়েছেন। এ অবস্থায় সিলেটের পাথর আহরণ, বিক্রয় ও বিপণণসহ এই খাতে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে গঠিত হয়েছে বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।’
তিনি জানান, আগামী বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে পাথর সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি এবং পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার, সাধারণ সম্পাদক আমির উদ্দিন, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক পুলক কবির চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ ফয়েজ, ভোলাগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলী বাবুল, জাফলং পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি বাবুল আহমদ, সহসভাপতি ইসমাঈল মিয়া, ধোপাগুল পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ সালেহ আহমদ শাহনাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা