অবশেষে রিকশামুক্ত হল সিলেট নগরীর ব্যস্ততম বন্দরবাজার-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়ক। যানজট নিরসনে বছরের প্রথম দিন থেকে ওই সড়ক দিয়ে রিকশাসহ সবধরণের অযান্ত্রিক পরিবহন ও লেগুনা (হিউম্যান হলার) চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সিটি করপোরেশন। কিন্তু প্রথম দু’দিন রিকশা চলাচল করলেও সোমবার থেকে কঠোর হয়েছে সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক পুলিশ। সকাল থেকে চৌহাট্টা ও বন্দর (কোর্ট পয়েন্ট) মোড়ে অবস্থান নিয়ে ওই সড়কে রিকশা ঢুকতে দেয়নি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। ফলে ব্যস্ততম রাস্তাটি দিনভর প্রায় ফাঁকা ছিল।
সিলেট নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক বন্দরবাজার-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা। সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস-আদালত, নগরভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিপণীবিতান থাকায় সারাদিন এই সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকতো। যানজট নিরসনে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে ওই সড়ক দিয়ে রিকশা, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ও লেগুনা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সিটি করপোরেশন। এনিয়ে বেশ কয়েকদিন প্রচার-প্রচারণাও চালানো হয়। সিটি করপোরেশনের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রিকশা চালকরাও মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এ অবস্থায় বছরের প্রথম দুদিন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা রিকশা চালকদের বাধা দিয়েও তাদেরকে দমাতে পারেননি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রিকশা চালকরা দাপিয়ে বেড়ান সড়কটিতে। অবশেষে রবিবার মাঠে নামে ট্রাফিক পুলিশ। সকাল থেকে তারা চৌহাট্টা ও কোর্ট পয়েন্ট (বন্দর অংশ) অবস্থান নিয়ে ওই সড়কে রিকশা প্রবেশে বাধা দেয়। ফলে গতকাল সড়কটি ছিল যানজটমুক্ত।
এ প্রসঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘যানজট নিরসনে বন্দর-চৌহাট্টা সড়কে রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি ও লেগুনা চলতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে আমরা একদম জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি। এই সড়কের পাশে কাউকে গাড়ি বা মোটর সাইকেলও অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখতে দেয়া হবে না। কেউ আইনভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন