আকাশপথে চলাচলে সিলেট বিভাগের একমাত্র মাধ্যম ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দরে নেই আরটি-পিসিআর টেস্টের কোনো ব্যবস্থা। তাই বিদেশ যাত্রীদের আসা-যাওয়ায় এই বিমানবন্দরে হয় না করোনা পরীক্ষা। যেসব দেশে যেতে ফ্লাইটের ২৪ ঘণ্টা আগে করোনার পিসিআর টেস্টের প্রয়োজন হয়, সেসব দেশে যেতে হলে যাত্রীদের ছুটতে হয় ঢাকায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টেস্ট করিয়ে উঠতে হয় ফ্লাইটে। তবে এবার সিলেটের যাত্রীদের জন্য সুখবর দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব বসানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে তারা। শিগগিরই ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হবে বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, সিলেট থেকে যাত্রীদের ঢাকায় গিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর টেস্ট করাতে হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে যাত্রার আগে বিমানবন্দরে পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশে যেতে ফ্লাইট ছাড়ার ৬ ঘণ্টা আগে পিসিআর টেস্ট করাতে হয়। ফলে একজন যাত্রীকে ফ্লাইট ছাড়ার অন্তত ৮ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে হয়। তাই প্রায় সারাদেশ থেকেই বিদেশগামীরা ভীড় করেন শাহজালাল বিমানবন্দরে। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর ভীড় সামাল দিতে হিমশিম খায় দেশের প্রধান বিমানবন্দরটি। এই পরিস্থিতিতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওপর চাপ কমাতে চাইছে বেবিচক।
এই পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। একই রকম টেস্ট ল্যাব সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও স্থাপন করতে চায় বেবিচক। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।
এ প্রসঙ্গে বেবিচকের চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সিলেটেও পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। এখানেও যদি পিসিআর টেস্ট ল্যাব বসানো যায়, তাহলে সেটিও যাত্রীদের জন্য ভালো হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন