সিলেটে লাগামহীনভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ঘরে ঘরে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। অসুস্থতার ধরন দেখে চিকিৎসকরা বলছেন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনেই আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। বেশিরভাগ আক্রান্ত চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করে বাসায় থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে বয়স্ক ও অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্তদের বেশ কাবু করে ফেলছে ওমিক্রন। অবস্থার অবনতি হলে তারা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। ফলে এতদিন কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো রোগীশূন্য থাকলেও ফের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থা বিরাজ থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে হাসপাতাল রোগীতে পুরোপুরি পূর্ণ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৩৬ জন, মৌলভীবাজারে ২১ জন, সুনামগঞ্জে ১৭ জন ও হবিগঞ্জে দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তিদের মধ্যে ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন আইসিইউতে।
অধিদফতর সূত্র আরও জানায়, সিলেট জেলায় যে ১৩৬ জন ভর্তি রয়েছেন তার মধ্যে সিলেটের কভিড ডেডিকেটেড শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৫ জন। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালটি কভিড আক্রান্তদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে ইতোমধ্যে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। হাসপাতালটির ওয়ার্ড ও কেবিন মিলিয়ে রয়েছে ৮৬টি শয্যা। আর বাকি ১৪ শয্যা আইসিইউ ইউনিটের।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালের ৮৬টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ৬৪টিতে রোগী ভর্তি ছিলেন। আর আইসিইউর ১৪টি বেডের মধ্যে রোগী ছিলেন ৭টিতে। ডা. মিজান আরও জানান, হাসপাতালে যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগেরই অবস্থা খারাপ। ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্তরা করোনা সংক্রমিত হলে তাদের অবস্থা খারাপের দিকে চলে যায়। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে হাসপাতালে এ রকম রোগীই আসছেন বেশি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত নানা বয়সী মানুষ হাসপাতালে এসেছিলেন। কিন্তু এবার বয়স্ক ও জটিল রোগীদের সংখ্যাই বেশি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ