প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফিরে পাবেন কিনা, এ নিয়ে রয়েছে সংশয়। তবুও নির্বাচনি মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রতিনিয়ত যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তার প্রত্যাশা প্রার্থিতা ফিরে পেলে তাকেই জয়যুক্ত করবে জনগণ।
সূত্র জানায়, বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র পদে বহাল থেকে প্রার্থী হওয়ায় যাচাই-বাচাইকালে তার মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে গত ১০ ডিসেম্বর আপিল করেন তিনি। পাঁচদিন পর সেই আপিল খারিজ করে দেয় ইসি। এরপর প্রার্থিতা ফেরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মেয়র মুহিবুর। গত ২০ ডিসেম্বর রিট শুনানির ধার্য তারিখে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল আমীর উদ্দিন রিটের বিরোধিতা করেন। পরে বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ইকবাল করিমের যৌথ বেঞ্চ রিটের আদেশের জন্যে আগামী ২৭ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়।
জানা গেছে, সিলেট-২ আসনের রাজনীতির মাঠে মুহিবুর রহমান এক আলোচিত নাম। ১৯৯১ সাল থেকে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রভাবশালী এ রাজনীতিবীদ। ৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে লাঙ্গলের প্রার্থী মকসুদ ইবনে আজিজ লামার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় হন তিনি। এরপর ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে, মহাজোট প্রার্থী বিএনপির দাপুটে নেতা এম. ইলিয়াস আলী ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ আজিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে তৃতীয় হন। ২০০৮ সালে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার একদিন পর তাকে বাদ দেওয়া হয়। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দলের সিদ্ধান্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তিনি। এদিকে দুই দুইবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন মুহিবুর রহমান। সবশেষে হন বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আর যেখানে আইন শতভাগ আমার পক্ষে, সামান্যতম কোনো সন্দেহ নেই। কাজেই আমি আমার নির্বাচনি প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এখন দেখা যাক, হাইকোর্ট কী সিদ্ধান্ত দেন?
বিডি প্রতিদিন/এমআই