পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর চেয়ারম্যান ও খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, হালদা নদী বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এটি রক্ষা করতে দখল রোধ, দূষণ ও ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি জনগণেও এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাটহাজারীর গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকায় ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ) আয়োজিত ‘হালদা নদীতে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক মূখ্য সচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিএফ এর নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম, বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ এর ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসিম উদ্দিন, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার উন নেছা, হালদা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সারওয়ার মোর্শেদ, আইডিএফ এর পরিচালক নিজাম উদ্দিন, রেণু ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন সওদাগর, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ রওশনগীর প্রমুখ।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘বর্তমানে হালদাকে জাতীয় নদী ঘোষণার দাবি ওঠেছে। আমিও এ দাবির প্রতি এক মত। এ নদীকে বাঁচাতে পিকেএসএফ সব ধরণের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।’
মো. আবদুল করিম বলেন, ৫টি বৈশিষ্ট্যের কারণে হালদাকে আলাদাভাবে চেনা যায়। এ নদীর উৎপত্তি বাংলাদেশে এবং শেষ হয়েছে বাংলাদেশে, এটি দেশের একক নদী ও এটির পানি মিষ্টি, জোয়ার-ভাটা এ নদী থেকে প্রাকৃতিকভাবে রুই জাতীয় মাছের ডিম আহরণ করা হয় এবং অর্থনৈতিকভাবে এ নদীর গুরুত্বও অনেকে। মূলত এসব কারণে হালদা এক অনন্য বৈশিষ্ট্যের নদী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন