সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব খাদিজা নাজনীন বলেছেন, ‘বর্তমান সমাজে প্রকৃত অপরাধীদের পাশাপাশি শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী অনেকে অপরাধ না করেও অপরাধী হয়ে কারাগারে যায়। অজ্ঞাত কারণে অনেকে ছোট অপরাধ করেও জেলে যেতে হয়। শহর-পাড়া-মহল্লা ও বস্তিতে থাকা পিতা-মাতাহীন পরিত্যক্ত শিশুদের মধ্যে সকলে সৎপথে চলবে, এটা আশা করা যায়না। তাদেরকে বুঝিয়ে শুদ্ধ বা সংশোধন করে সমাজের মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। অপরাধীরা সংশোধন হয়ে গেলে সুন্দর ও আলোকিত সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণ সম্ভব।’
রবিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত ‘প্রবেশন আইন ও প্রবেশন ব্যবস্থা’ শীর্ষক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় সমাজসেবা অধিদফতর কর্মশালার আয়োজন করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এজেডএম শরীফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও চমেক হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার অভিজিৎ সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক নুসরাত সুলতানা, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র জেল সুপার মো. কামাল হোসেন, ঢাকাস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রবেশন ও চিকিৎসা) লামিয়া ইয়াছমিন ও চট্টগ্রাম ইউএনডিপি বাংলাদেশ’র ডিস্ট্রিক্স ফ্যাসিলিটেটর উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ‘প্রবেশন আইন ও প্রবেশন ব্যবস্থা’ বিষয়ে উপস্থাপন করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ’র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেশন অফিসার মেবেল সিলভীয়া রড্রিকস। বক্তব্য রাখেন সিএমপি’র এসি (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য ম. শামসুল ইসলাম, মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হাসান মাসুদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, প্রবেশন আইন সম্পর্কে সর্বত্র প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। এ বিষষে আরো বেশি অবগত হয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হলে প্রবেশন অফিসারদেরকে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টদের কাছে যেতে হবে। প্রবেশন আইন ও প্রবেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার /রেজা মুজাম্মেল