মহান বিজয় দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উদযাপন করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দুপুরে স্বাধীনতা চত্বরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছে। বন্দর এলাকা রঙিন পতাকা এবং আলোক সজ্জায় সুশোভিত করা হয়েছে।
মহান বিজয় দিবসের শুরুতে রাত ১২ টা ১ মিনিটে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশী-বিদেশী সকল জাহাজে এক মিনিট বিরতিহীন হুইসেল বাজানো, সূর্যদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বাদ ফজর স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মোংলা বন্দর স্মৃতি সৌধে সকালে বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। পতাকা উত্তোলন শেষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোংলা বন্দরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। দুপুরে স্বাধীনতা চত্বরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোংলা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী মোংলা বন্দরের উপর বিশেষ সুদৃষ্টি রেখেছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে দেশ, শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং সেই একই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মোংলা বন্দর।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল