চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘নগরীর গৃহকর নিয়ে করদাতারা যে বিভ্রান্তিতে ছিলেন তা নিরসনে আপিল বোর্ডের গণশুনানির মাধ্যমে সহনীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত গৃহকর নির্ধারণ করা হচ্ছে। করদাতাদের সামর্থ অনুযায়ী কর দেওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে।’
‘চসিকের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গৃহকর ছাড়া অন্য কোনো আয়ের পথ নেই। সরকার থেকে আগে যে থোক বরাদ্দ দেওয়া হতো তাও বর্তমানে বন্ধ। সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণপূর্বক করের আওতা বাড়িয়ে চসিকের বিশাল ব্যয় নির্বাহ করতে হবে।’
সোমবার নগরীর আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনে চসিক রাজস্ব বিভাগের ৩নং সার্কেলের ওয়ার্ড/মহল্লা হোল্ডিংগুলোর বিপরীতে ‘পি’ ফরমে প্রাপ্ত আপত্তি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত রিভিউ বোর্ড-৩ এর গণশুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘একটি মহল আয়তনের ওপর কর মূল্যায়ন করার যে দাবি জানাচ্ছে তা আমলে নিলে কর মূল্যায়ন সহনীয় হবে তা ভ্রান্ত ধারণা। সেক্ষেত্রে ভাড়ার ওপর কর মূল্যায়ন যতটুকু সহনীয় করা যায় তা আয়তনভিত্তিক মূল্যায়নে সম্ভব নয়। করদাতারা চসিককে যে কর প্রদান করছেন তা ২০১০ সালের মূল্যায়নকৃত। বিগত সময়ে দুই দফা কর মূল্যায়নের বিধি-বিধান থাকলেও তা স্থগিত ছিল। এতে করদাতাদের সেই কর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হয়েছে।’
সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, রিভিউ বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর নীলু নাগ, হাজী নুরুল হক, গাজী মো. শফিউল আজম, রুমকী সেনগুপ্ত, রিভিউ বোর্ডের সদস্য প্রকৌশলী অসীম সেন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ