চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্জ্য থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই। বর্জ্য সংগ্রহের পর তা ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে বছরের পর বছর পচনের জন্য ফেলে রাখার নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। বিভিন্ন দেশে বর্জ্যকে ব্যবস্থাপনা করে কীভাবে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন করে তা দেখেছি। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। চট্টগ্রামে প্রতিদিন যে বর্জ্য উৎপাদিত হয়, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই।
বুধবার দুপুরে ‘চট্টগ্রাম নগরীতে সমন্বিত বর্জ্য শোধনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম। সেমিনারে জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দুটি জাপানী কোম্পানি, জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং ইয়চিও ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন একটি সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা না করলে তা যে কেবল নগরীকে অপচ্ছিন্নই করে তা নয়, বরং বর্জ্য জনমানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ভয়াবহ হুমকি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে গবেষণা ও প্রযুক্তিভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রহণ সময়ের দাবি।
মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, আমরা বর্জ্য পৃথকীকরণে জোর দিচ্ছি। এর মাধ্যমে বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনযোগ্যতা, রিসাইকেলযোগ্যতা ইত্যাদির ভিত্তিতে প্রথমেই আলাদা করে ফেলছি। এরপর সে বর্জ্যগুলোকে কাজে লাগাচ্ছি। ইতোমধ্যে নগরীর শুলকবহর ওয়ার্ডে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যেটির সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে পূর্ব ষোলশহর, পশ্চিম ষোলশহর এবং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে পৃথকীকরণ শুরু করেছি।
সেমিনারের সঞ্চালনা করেন চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহ-সভাপতি সুভাষ বড়ুয়া, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি হারুনুর রশিদসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
বিডি প্রতিদিন/এএম