চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিনের ছেলে নেজাম উদ্দিনের (৩২) বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিনের বাড়িতে গত ৬ বছর ধরে ওই কিশোরী গৃহকর্মীর কাজ করে আসছে। চেয়ারম্যানের ছেলে তাকে বিভিন্ন সময়ে উত্যক্ত করত। গত রমজানে কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে নেজাম। রমজান মাস হওয়ায় এবং আর কখনো এমন হবে না আশ্বাস দেয়ার পর কাউকে বিষয়টি জানানো হয়নি। সম্প্রতি আবারো একই ঘটনা ঘটলে ওই কিশোরী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় চেয়ারম্যান কিশোরীকে তার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি কাউকে না বলতে তিনি কিশোরীর পরিবারকে হুমকি দেন এবং না বললে দুইটি গরু দিবেন বলেও আশ্বাস দেন। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে গত বুধবার ওই কিশোরীকে ওসিসিতে ভর্তি করায় তার পরিবার। ওসিসির কর্মকর্তাদের পরামর্শে তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত এএসআই আলাউদ্দীন তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাঁশখালীর এক চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ করছে তার পরিবার। বর্তমানে ওসিসিতে তার চিকিৎসা চলছে।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীন দাবি করেছেন, পুরো বিষয়টি বানোয়াট। তার ছেলে ওই মেয়ের পরিবারের কাছে একটি গরু বর্গা দেন। গরুটি বড় হওয়ার পর সেটি বিক্রি করা হয়। কিন্তু তার ছেলে নিজামকে তারা গরু বাবদ কোনো টাকা ফেরত দেয়নি। এখন টাকা না দেয়ার জন্য এসব কথা বলছে। ওই কিশোরী তার বাসায় কাজ করতো বলে স্বীকার করেন চেয়ারম্যান। তবে মেয়েটি ৯ মাস আগে নিজের বাড়িতে চলে যায় বলে দাবি করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম