চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী, মেজবানের শহর, শুটকির শহর ও ব্যবসার শহর বলা হয়। এবার আমরা চট্টগ্রামকে গবেষণার শহরে রূপান্তর করব। আগামীতে স্বাস্থ্য বিষয়ক চলমান ইস্যু নিয়ে মানসম্পন্ন গবেষণা পরিচালিত হবে। আজ প্রথমবারের মত ডেঙ্গু নিয়ে একটি গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। শীঘ্রই আরও একটি গবেষণার ফল প্রকাশ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এটি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার বিকালে নগরের এসপেরিয়া হেলথ কেয়ারে চট্টগ্রামের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পরিচালিত ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান গবেষক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সাত্তার, গবেষণার পরিচালক চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবদুর রব, সহ-পরিচালক চমেকের রেজিস্ট্রার ডা. আবুল ফয়সাল মো. নুরুদ্দীন চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী, সহপ্রধান গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান, সহগবেষক চমেক হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মারুফ উল কাদের, মেডিসিন বিভাগের ডা. নূর মোহাম্মদ ও ডা. আব্দুল হামিদ সাগর, বিআইটিআইডির ল্যাব ইনচার্জ ডা. জাকির হোসেন, ফটিকছড়ি হেলথ কমপ্লেক্সের ডা. ইমরুল কায়সার।
গত ১০ জুলাই থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত- এই ৪ মাস ধরে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৫০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
গবেষণায় বলা হয়, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৭৫ ভাগ রোগীই ডেন ২ সেরোটাইপে (ধরন) আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়াও বিরল ডেন ১ সেরোটাইপে আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রামের আরও ১১শতাংশ মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ছিলেন পুরুষ। আর রোগীদের প্রতি ৫ জনে ১ জন ছিল শিশু। তাছাড়া, চট্টগ্রামের পাঁচটি এলাকাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
গবেষণায় যুক্ত ছিলেন চবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক মহব্বত হোসেন ও আফরোজা আক্তার তন্বী, জেনারেল হাসপাতালের ডা. তারেকুল মজিদ, ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, কল্যাণ চাকমা, তানজিনা আক্তার, ইসমাইল আল রশিদ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অধ্যাপক এস এম রফিকুল ইসলাম ও ডা. এ এম জুনায়েদ সিদ্দিকী।
চট্টগ্রামের বেসরকারি এসপেরিয়ার হেলথ রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গবেষণায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন ও পেডিয়াট্রিকস বিভাগ, জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এবং নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ল্যাব চিটাগং।
বিডি প্রতিদিন/এএম