বরিশাল নগরীর বাঘিয়া এলাকার একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে এবং হত্যায় জড়িত দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে। জানা গেছে, হত্যার শিকার হাসান প্যাদা (৩০) বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা বকসির চর লাকুটিয়া এলাকার বাসিন্দা খোকন প্যাদার ছেলে। গ্রেপ্তাররা হলো- বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের বাসিন্দা হারুন সরদারের ছেলে সাকিব সরদার (২০) ও নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল সড়কের ভাড়াটিয়া মো. চানমিয়া হাওলাদারের ছেলে মুন্না হাওলাদার (২১)।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির সিকদার জানান, ৫ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর বাঘিয়া এলাকার একটি কচুরিপানা ভর্তি ডোবা থেকে অজ্ঞাত অর্ধগলিত অবস্থায় একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে থানার এসআই মহিউদ্দিন আজাদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে লাশটি হাসান প্যাদার বলে তার স্ত্রী ও মা শনাক্ত করে। গোয়েন্দা সূত্র ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাকিব ও মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেখানো স্থান থেকে হত্যায় ব্যবহৃত প্যান্টের বেল্ট, হাসানের জুতা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য অনুযায়ী, হাসান বিসিক এলাকার একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে। ২ এপ্রিল বেতন পেয়েছে। তাই তার টাকা ও মোবাইল নেওয়ার জন্য হত্যার পরিকল্পনা করে সাকিব ও মুন্না। সেই অনুযায়ী রাতে মাদক সেবনের জন্য ডেকে নেয়। মাদক সেবনের একপর্যায়ে তার কাছে টাকা চায়। তখন টাকা নেই বললে হাসানের পকেটে হাত দেয়। এতে হাসান ক্ষিপ্ত হলে দুজনে মুখ চেপে ধরে কোমড়ের বেল্ট খুলে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ডোবায় ফেলে দেয়। ওসি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে।