বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এলাকায় আধিপত্য ও নেতৃত্বের প্রভাব ধরে রাখতে নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে জড়িয়ে পড়ছেন। যার কারণে বরিশাল নগরীসহ জেলার ১০ উপজেলায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে মারামারিতে দুজন নিহতসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, বরিশাল নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রথম রমজানে খুন হন যুবদল নেতা সুরুজ গাজী। ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নেতৃত্বে সুরুজসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। গত ৩০ মার্চ হিজলায় নদীপথে চাঁদাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির এক পক্ষ অপর পক্ষের কর্মী শরীফ তপাদারকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ দুই হত্যা মামলার আসামি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। নেতৃত্বের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৯ মার্চ বাকেরগঞ্জে সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। এভাবে বরিশাল মহানগরসহ ১০ উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে অর্ধশতাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রায় প্রতিদিন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন নেতা-কর্মীরা। এতে শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অর্ধশত নেতা-কর্মী। এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে মামলাও দিয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, রাজনীতিতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা গ্রহণযোগ্য। অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে একজন আরেকজনের ওপর আক্রমণ করা, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত দল তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়েছে।
বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহীন বলেন, একেক এলাকার নেতারা নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন। এর জন্য মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। নিজেদের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা সুস্থধারার রাজনীতির অন্তরায়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ বলেন, দলের মধ্যে কিছু খারাপ লোক ঢুকে পড়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।