মওলানা ভাসানীকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়েছে ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ-এনসিবি। এনসিবির চেয়ারম্যান কাজী ছাব্বীর, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শেখ জামাল উদ্দিন ও মহাসচিব ইকবাল হাসান স্বপন এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল গঠিত প্রবাসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। ৫ দলীয় জোটের মধ্যে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ভাসানী, আওয়ামী লীগ, ন্যাপ মোজাফ্ফর এবং কমরেড মণি সিংহ ও অ্যাডভোকেট মনোরঞ্জন ধর ছিলেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর উদ্যোগে এই প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়। ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত নেতা মওলানা ভাসানীই আন্তর্জাতিক বলয়ে একমাত্র গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৪৮ সালে সর্বপ্রথম পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তিনিই ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরিতে আন্দোলনের সূচনা করেন। স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম।
আওয়ামী লীগের তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শেখ মণি গংদের ষড়যন্ত্রের কারণে মওলানা ভাসানীর ইতিহাসকে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে আওয়ামী লীগ এককভাবে সরকার গঠন করে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবুর রহমান থেকে দিবসটি পালন করেন। তারা বলেন, ১৯৭২ থেকে ’৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের একনায়কতন্ত্রের কারণে মওলানা ভাসানী রাজপথে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং শেখ মুজিবের নির্দেশেই ১৯৭৪ সালে মওলানা ভাসানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আওয়ামী লীগের ইতিহাস হলো একনায়কতন্ত্র, ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড। শেখ হাসিনার গণহত্যা, পলায়ন এবং ২০২৪-এর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের ইতিহাসও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান।