চিকিৎসক নেতা ডা. তৌফিকুল ইসলাম মো. বেলালের নামে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছিল দুদক। তিনি রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। চারঘাট থানায় এক বিএনপি নেতার নামে ইয়াবা চোরাচালানের মামলা হয়। সেটিও প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৫ বছরে রাজশাহীতে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের নামে দুই হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৫০টির মতো মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে কমিটি। তবে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০টি মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক দাবি করে প্রত্যাহারের আবেদন জমা পড়েছে। এদিকে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে যেসব মামলা করেছে, সেগুলো প্রত্যাহার প্রক্রিয়া রহস্যজনক কারণে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অন্য মামলাগুলোর সুপারিশ কার্যক্রমও চলছে ধীরগতিতে।
রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রইসুল হক জানান, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে জেলা থেকে সুপারিশ নিচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকে ব্যক্তিগত বিরোধ, জমিজমা, মাদক, এমন কি চাকরিজীবনে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হওয়া মামলাও প্রত্যাহারে দলীয় সুপারিশের হিড়িক পড়েছে। তবে তিনি কিছু মামলায় পুলিশ বিএনপি নেতাদের মাদক দিয়ে ফাঁসিয়েছে বলেও স্বীকার করেন। সবকিছু বিবেচনায় রেখে মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ মাসুম জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে চাপ আছে। তবে তারা এমন কোনো মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করছেন না, যেগুলো ব্যক্তিগত।
মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম বলেন, কিছু মামলায় হাজিরা দিতে হচ্ছে না। কিন্তু ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত যেসব মামলা পুলিশ বাদী হয়ে করেছিল, সেগুলো প্রত্যাহার হচ্ছে না রহস্যজনক কারণে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা জানান, সরকার যেভাবে মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল, সেভাবে হচ্ছে না। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে।