আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পশুর হাট বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে সংস্থা দুটি ২০টির বেশি হাট বসানোর জন্য প্রস্তুতি শেষ করেছে। যদিও এসব হাট অধিকাংশই আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার অভ্যন্তরে। মূল সড়ক ও আবাসিক এলাকায় পশুর হাট না বসানোর নিয়ম থাকলেও খোদ সিটি করপোরেশন তা মানছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিয়ম অনুযায়ী, জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো স্থান, আবাসিক এলাকা, বাসা-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ এসব স্থানের আশপাশে হাট বসানো যাবে না।
জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ১১টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৯টি হাট বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর বাইরে গাবতলী ও সারুলিয়ায় স্থায়ী হাট রয়েছে। অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে অধিকাংশই আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার ভিতর। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারের পাশের খালি জায়গার হাট। এই হাটটি খসড়া তালিকায় চূড়ান্ত হিসেবে রয়েছে। যদিও মেরাদিয়া হাট পুরাটাই আবাসিক এলাকার ভিতর। প্রতি বছর এ হাটটি বসে আবাসিক এলাকার ভিতরের সড়কগুলোতে। বাসার সামনে, স্কুল ও কলেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সারি সারি খুঁটিতে পশু বেঁধে রাখে। সড়কগুলোতে পশু থাকার কারণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়। আবাসিক বাসিন্দারা চলাফেরায় ভোগান্তিতে পড়েন। মেরাদিয়া বাজারের ৩ নম্বর রুটের বাসিন্দা শাহআলম বলেন, প্রতি বছর এই সড়কে পশুর হাট বসে। বাসার সামনের সড়কের দুই পাশে খুঁটি গেড়ে পশু বেঁধে রাখে। এতে হাঁটাচলা করতে খুবই কষ্ট হয়। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে এবার অনুরোধ করব মেরাদিয়ায় পশুর হাট যেন না বসায়। এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও পশুর হাট বসানোর কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে খসড়া তালিকা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সভা ডেকে চূড়ান্ত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতি বছরই হাটগুলো বসে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও এসব স্থানে হাট বসানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৯টি অস্থায়ী হাট বসানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
হাটগুলোর মধ্যে উত্তরা দিয়াবাড়ীর ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের পাশের খালি জায়গার হাটটি আবাসিক এলাকার ভিতর। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের খালি জায়গার হাটটি বাণিজ্যিক এলাকার ভিতর। এ ছাড়া মস্তুল চেকপোস্ট এলাকা, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট সড়কের পাশের খালি জায়গা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদরাসা থেকে রানাভোলা স্লুইচগেট পর্যন্ত খালি জায়গা ও দক্ষিণখানের জামুন এলাকার খালি জায়গার হাট বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। যদিও এ হাটগুলো নির্ধারিত জায়গা পেরিয়ে আবাসিক এলাকার ভিতরের অলিগলিতে চলে যায়।