মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে আসামির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে চাকরি হারালেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী। এর আগে বিভাগীয় তদন্তে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
গতকাল দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে। চাকরিচ্যুত ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বগুড়ায় উপসহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে জেলা পুলিশে গোয়েন্দা বিভাগের এসআই আলমগীর হোসেনের সম্পদ বিবরণী যাচাই করেন। ওই সময় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি আলমগীর হোসেনের কাছে ঘুষ দাবি করেন। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তিনি ৭ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। আলমগীর হোসেনের খালাতো বোন বেগম সুমাইয়া শিরিনের মাধ্যমে কিছু অর্থ নেন। যার মধ্যে বগুড়া বারের আইনজীবী কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং অ্যাডভোকেট সৈয়দ আসিফুর রহমানের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আলমগীরের খালাতো বোন বেগম সুমাইয়া শিরিন এবং অ্যাডভোকেট সৈয়দ আসিফুর রহমানের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত মোবাইলফোনের মাধ্যমে উৎকোচ দাবি ও গ্রহণের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডও দুদকের ফরেনসিক ল্যাবে মাধ্যমে প্রমাণিত হয়।