ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে কয়েকটি দেশে বাংলাদেশি পণ্য পরিবহন খরচ ২ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। তবে শিগগির যেসব পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি তাতে বাড়তি এই খরচ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। গতকাল সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ : চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ বশির উদ্দীন বলেন, এ ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে আমাদের খরচ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বেড়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি, কর্মসূচি নিয়েছি, যেদিন বাতিল করা হয়েছে সেদিন রাত থেকে আলোচনা করছি। আমি নিজে পয়লা বৈশাখের সারাদিন বিমান বন্দরে কাটিয়েছি। নিজে বোঝার চেষ্টা করেছি, কীভাবে এ সমস্যা হচ্ছে, কেন আমাদের দেশের পণ্যবাহী কার্গো আরেক দেশের সহায়তা নিয়ে তৃতীয় দেশে যেতে হচ্ছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আশা করি এটা সমাধান করতে পারব। আবার গতকাল (পরশু) থেকে আমাকে (বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা) নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা সেই কর্মসূচিকে গতিশীল করবে। আমি মনে করি, ঠিক যেভাবে বাজারকে পণ্যের বৈচিত্র্যময়, সরবরাহ ঠিক করার মাধ্যমে স্থিতিশীল করেছি, এ কাজও সেভাবে বিমানে পণ্যবাহী কার্গো ঠিকমতো পরিবহন করতে পারব।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ-এর সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সঞ্চালনায় ছিলেন বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।