আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্লোগান ছিল পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা। ভাটির দেশ বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী পদ্মা। বাংলাদেশ নামের গাঙ্গেয় বদ্বীপের সুজলাসুফলা শস্যশ্যামলা হয়ে ওঠার পেছনে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ উজান থেকে আসা অভিন্ন নদনদীগুলোর অবদান অনস্বীকার্য। আন্তর্জাতিক আইন অভিন্ন নদীর ওপর উজান ও ভাটির সম অধিকার নিশ্চিত করে। ভাটির দেশের সম্মতি ছাড়া উজানের দেশ অভিন্ন নদীতে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে না। দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি, বাংলাদেশ ও ভারতের অর্ধশতাধিক অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে নদী ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিফলন নেই। ১৯৭৫ সালের ফারাক্কা বাঁধের পর থেকে প্রমত্তা পদ্মার চেহারা পাল্টে গেছে। ৫ দশকের ব্যবধানে পদ্মা নদীর আয়তন অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। পদ্মা হয়ে উঠেছে নদীখেকো দখলদারদের তালুক। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকামতে, উত্তরাঞ্চলের চার জেলায় পদ্মার জমি দখলের সঙ্গে জড়িত ৪ হাজার ২৩১ জন নদীখেকো। শুধু পদ্মা নয়, উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে এর শাখাপ্রশাখা নদীগুলোও অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। পানির অভাবে নদনদী শুকিয়ে যাওয়ায় যেখানেসেখানে জেগে উঠছে চর। যে পদ্মা নদীকে কূলকিনারাহীন অভিধায় অভিহিত করা হতো, সে নদীর জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। একসময় দেশি মাছের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল পদ্মা নদী। এখন সেসব স্মৃতি। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী বায়োডাইভার্সিটি অ্যান্ড কনজারভেশনের ২০২৩ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় বলা হয়েছে, ৪০ বছরে পদ্মার আয়তন কমেছে ৫০ শতাংশ। প্রবাহ কমেছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ। মিঠাপানির প্রবাহ সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। বার্ষিক বৃষ্টিপাত কমেছে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। পদ্মা অববাহিকার তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। নদীপাড়ের মানুষও সুপেয় পানির অভাবে ভুগছে। বাংলাদেশ নদনদীর দেশ- এটি গর্বিত পরিচয়। তবে মনে রাখতে হবে, সাহারা মরুভূমিও ছিল একসময় জলাধারে সমৃদ্ধ। মরুকরণের প্রক্রিয়া রুখতে না পারলে শুধু পদ্মা অববাহিকা নয়, অস্তিত্বের সংকটে ভুগবে গাঙ্গেয় বদ্বীপ বাংলাদেশ। এ পরিণতি এড়াতে চাইলে অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায়ে যত্নবান হতে হবে।
শিরোনাম
- ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল
- ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
- একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
- অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
- ‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
- ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
- সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
- আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
- শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- ১৬ বছরে শিক্ষা খাতকেও দলীয়করণ করা হয়েছে: খোকন
- বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা
- প্রথমে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
- স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
- শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
- আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
- বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
- যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
পদ্মার নাভিশ্বাস
ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সোচ্চার হোন
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর