শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫

গাদ্দাফির স্বৈরশাসন ভুলতে পারেনি লিবিয়ার মানুষ

শিমুল মাহমুদ
প্রিন্ট ভার্সন
গাদ্দাফির স্বৈরশাসন ভুলতে পারেনি লিবিয়ার মানুষ

বাংলাদেশি কর্মজীবীদের একসময়ের জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল লিবিয়া। উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া আফ্রিকার বৃহত্তম রাষ্ট্রগুলোর একটি। পেট্রোলিয়ামের বিরাট মজুত আবিষ্কারের পর থেকে লিবিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশগুলোরও একটি। সেই লিবিয়া এখনো বাংলাদেশি শ্রমজীবীদের কাছে জোর আলোচনায়। লিবিয়ায় বাংলাদেশিদের কাজের জায়গাটি আর আগের মতো নেই। কিন্তু শ্রমবাজারের আলোচনায়, অবৈধ আদম বেপারীদের প্রতারণায় লিবিয়ার নাম এখন সবার আগে। লিবিয়া এখন বাংলাদেশি জনশক্তি পাচারের বড় রুট হিসেবে পরিচিত। লিবিয়া হয়ে ইতালি কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে মানুষ। পাচারকারীরা লিবিয়ায় নিয়ে সেখানে জিম্মি করে, নির্যাতন করে দেশে তাদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে। এই এক ঘৃণ্য নারকীয় তৎপরতা। বাংলাদেশি স্বপ্নচারী কিছু মানুষকে বিদেশে পাঠানোর নাম করে লিবিয়ায় জিম্মি করে, অমানবিক নির্যাতন করে দেশে মুক্তিপণ আদায় করছে বাংলাদেশেরই কিছু মানুষ। সরকার তাদের কিছুই করছে না। কেউ কেউ ধরা পড়লে স্থানীয়ভাবে সালিশ করে পার পেয়ে যায়। রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কেউ কেউ এ জঘন্য মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক কারণেই অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতির পর গত দেড় দশকে লিবিয়া হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক অপরাধীদের অভয়ারণ্য।   

দীর্ঘ ৪২ বছরের স্বৈরশাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর ১৪ বছর পরও লিবিয়ায় তার প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি। আফ্রিকার জনপ্রিয় নেতা গাদ্দাফি ছিলেন নানা কারণেই পশ্চিমা বিশ্বের চক্ষুশূল। অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের জের ধরে জাতিসংঘের সহায়তায় পশ্চিমারা গাদ্দাফিকে হত্যা ও ক্ষমতাচ্যুত করে। ২০১১ সালে মৃত্যুর ১৪ বছর পরও লিবিয়ার তরুণ প্রজন্ম গাদ্দাফির ক্ষমতা দখলের দিনটিকে (১৯৬৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর) প্রতি বছর গাদ্দাফিভক্তরা উদ্যাপন করে থাকেন।

প্রায় ৯৭ শতাংশ মুসলমানের দেশ লিবিয়ায় গাদ্দাফি প্রতিষ্ঠা করেন এক অদ্ভুত স্বৈরতন্ত্র। তাঁর ইচ্ছার বাইরে গিয়ে নাগরিকদের কিছুই করার ছিল না। আকারে বিশাল (১,৭৫৯,৫৪০ বর্গকিলোমিটার, আয়তনে বিশ্বের ১৬তম বৃহত্তম দেশ) হলেও লিবিয়াতে জনবসতি খুবই কম। দেশের বেশির ভাগ অংশজুড়ে রয়েছে সাহারা মরুভূমি। ১৯৫০-এর দশকে খনিজ তেল আবিষ্কারের আগে লিবিয়া ছিল একটি দরিদ্র রাষ্ট্র। পেট্রোলিয়ামের বিরাট মজুত আবিষ্কারের পর থেকে লিবিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর একটি।

ইতালীয়রা ২০ শতকের প্রথম ভাগে লিবিয়াকে একটি উপনিবেশে পরিণত করে। ১৯৫১ সালে দেশটি একটি স্বাধীন রাজতন্ত্রে পরিণত হয় এবং ১৯৬৯ সালে তরুণ সামরিক অফিসার মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফি ক্ষমতা দখল করেন। তিনি লিবিয়াকে একটি সমাজতান্ত্রিক আরব গণপ্রজাতন্ত্র আখ্যা দেন। তবে গাদ্দাফির শাসনকালে লিবিয়ার বাইরের লোকদের কাছে দেশটি একটি সামরিক একনায়কতন্ত্র হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিল। ১৯৫১ সালে রাজা ইদ্রিসের শাসনামলে জাতিসংঘ দেশটিকে স্বাধীনতা প্রদান করে। ১৯৬৯ সালে, মুয়াম্মার গাদ্দাফির নেতৃত্বে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে রাজা প্রথম ইদ্রিস উৎখাত হন। গাদ্দাফি তখন পশ্চিমাবিরোধী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭০ সালে গাদ্দাফি সব ব্রিটিশ এবং আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

১৯৬৯ সালের পর লিবিয়ার জনসংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ১৯৬৮ সালে তাদের সংখ্যা ছিল মাত্র ২০ লাখ। বর্তমানে প্রায় ৭৩ লাখ (২০২৩)। ১৯৬৯ সাল থেকে অনেক অভিবাসী শ্রমিক লিবিয়ায় আসেন। শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন তিউনিসিয়ার নির্মাণশ্রমিক, মিসরের শিক্ষক ও শ্রমিক, ফিলিস্তিনের শিক্ষক এবং যুগোস্লাভিয়া ও বুলগেরিয়ার ডাক্তার ও নার্স। লিবিয়ার প্যান-আফ্রিকান নীতিতে পরিবর্তন আনার পর ১৯৯০-এর দশকে ১০ লাখ শ্রমিক মূলত সুদান, নাইজার, চাদ এবং মালির মতো অন্যান্য প্রতিবেশী আফ্রিকান দেশ থেকে লিবিয়ায় আসেন। গাদ্দাফি তেল বিক্রির অর্থ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি গেরিলাদের লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে, লিবিয়া উগান্ডার গৃহযুদ্ধে ইদি আমিনের সরকারকে সহায়তা করার জন্য উগান্ডায় যুদ্ধ করে। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে, ইতালি এবং লিবিয়া একটি স্মারকলিপি স্বাক্ষর করে যার মাধ্যমে ইতালি পরবর্তী ২০ বছরে ৩০ বছরের উপনিবেশকালের রাজত্বের জন্য লিবিয়াকে ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে বলে চুক্তি হয়।

লিবিয়ার স্বৈরশাসক এবং একসময়ের জনপ্রিয় নেতা গাদ্দাফিকে ভুলতে পারে না আফ্রিকার মানুষ। তারা মনে করেন, গাদ্দাফি ছিলেন আফ্রিকার হতদরিদ্র মানুষদের অন্যতম আশ্রয়স্থল। আরব বসন্তের নামে গাদ্দাফিকে হত্যার পর ফ্রান্সসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো আবার আফ্রিকার দেশে দেশে তাদের পুরোনো কলোনিগুলোতে প্রভাববলয় বাড়াতে শুরু করে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতে তাদের তৎপরতা লক্ষণীয় হারে বেড়েছে। কর্নেল গাদ্দাফির মায়ের বাড়ি ছিল মালিতে। মালির কিদাল শহরে ছিল গাদ্দাফির মামার বাড়ি। এজন্য তিনি মালির প্রতি আলাদা টান অনুভব করতেন। তিনি মালির উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। মালির রাজধানী বামাকা শহরে গাদ্দাফির অনেক স্মৃতি রয়েছে। নাইজার নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে বামাকা নগরী। বামাকার দুই অংশ দুটি সেতু দ্বারা সংযুক্ত। সেতুসংলগ্ন পাঁচতারকা হোটেলটির নামই লিবিয়া হোটেল। লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট কর্নেল গাদ্দাফির পতন ও মৃত্যুর পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। গাদ্দাফি বেঁচে থাকতে লিবিয়ার সঙ্গে মালির খুব সুন্দর সম্পর্ক ছিল। অনেক ব্রিজ, রাস্তাঘাট গাদ্দাফি করে দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের মে মাসে মালির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন পরিদর্শনে গিয়ে গাদ্দাফির অনেক কীর্তি চোখে পড়ে। মালির শত বছরের শান্ত জনপদের পুরো পরিস্থিতি পাল্টে দেয় আরব বসন্তের ঢেউ। ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর তাঁর বিপুলসংখ্যক ভাড়াটে সৈনিক অস্ত্রের সম্ভার চুরি করে ফিরে আসেন উত্তর মালির পূর্বপুরুষের ভিটায়। এ কপর্দকশূন্য, অবহেলিত বেকার কিন্তু প্রশিক্ষিত সশস্ত্র লোকজনের ওপরই চোখ পড়ে উত্তর আফ্রিকার ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদা ইন দি ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম)-এর। সংগঠনটি মালির সীমান্তবর্তী দেশ আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, নাইজার আর বুরকিনা ফাসো থেকে তাদের কর্মতৎপরতাকে প্রসারিত করে এ অঞ্চলে। অত্যন্ত দুর্বল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, দারিদ্র্য, পশ্চাৎপদতা ও অনিশ্চয়তায় জর্জরিত জনপদটি জেহাদিদের সর্বগ্রাসী থাবা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। শুরু হয় পরস্পরবিরোধী গ্রুপগুলোর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত ও নৈরাজ্য। স্বৈরশাসক গাদ্দাফি সরকারের পতনের পর লিবিয়ায় একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। পশ্চিমা দেশগুলো তাদের দূতাবাস গুছিয়ে নিয়েছে। দেশের দক্ষিণ অঞ্চল পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে। উত্তরাঞ্চল হয়েছে মানব পাচারের সিল্করুট। গাদ্দাফি একটি শক্তিশালী আফ্রিকার স্বপ্ন দেখতেন। সেজন্যই হয়তো ২০১১ সালে লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থ জব্দ করেছিলেন বারাক ওবামা।

ক্ষমতা মানুষকে দুর্বিনীত, দুর্নীতিগ্রস্ত, শেষ পর্যন্ত অন্ধ করে দেয়। গাদ্দাফি তারই একটা বড় উদাহরণ হতে পারেন। বেদুইন পরিবারের সন্তান গাদ্দাফি ৪২ বছর কঠোর হাতে লিবিয়া শাসন করেছেন। তিনি নিজেকে আব্রাহাম লিংকনের সঙ্গেও তুলনা করতেন। সব একনায়কতন্ত্রই চায় নাগরিকদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে। গাদ্দাফির প্রশাসনের এ ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ এবং নৈপুণ্য ছিল। তাঁর শাসনোমলে স্বৈরতন্ত্র ঢুকে পড়েছিল একেবারে ঘরের ভিতর। সিনেমা বন্ধ, থিয়েটার বন্ধ, গানবাজনা বন্ধ, ফুটবল খেলাও বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। কোনো কিছুকে উপলক্ষ্য করে সাধারণ মানুষ একসঙ্গে হওয়া ছিল এক বিরাট সমস্যা। তারা যখন বাদ্যযন্ত্র নিষিদ্ধ করল, তখন ট্রাক ভর্তি করে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দেওয়া হলো। গাদ্দাফি ঘোষণা করলেন, বাদ্যযন্ত্র হচ্ছে লিবিয়ার বিশুদ্ধ সংস্কৃতির ওপর বিদেশি প্রভাব বিস্তারের একটা উপায়। বাদ্যযন্ত্র সব শহরের এক খোলা জায়গায় জড়ো করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হলো। একবার একইভাবে ট্রাক পাঠানো হলো সব বইয়ের দোকান থেকে বই তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। গাদ্দাফিবিরোধী গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ টেলিভিশনে প্রচার করা হতো। এমনকি মৃত্যুদণ্ড  কার্যকর করাও দেখানো হতো টিভিতে। সরকারের ভিন্নমতাবলম্বীদের বিদেশে পালিয়েও রক্ষা ছিল না। বিদেশ থেকেও ধরে এনে তার শাস্তি কার্যকর করা হতো। এমনকি বিদেশেও গুপ্তহত্যার শিকার হতেন বিরুদ্ধ মতের মানুষরা। গাদ্দাফি এটা স্পষ্ট করেছিলেন যে, দেশের বাইরে বসেও যদি কেউ তাঁর বিরোধিতা করে তাহলে তিনি তাকে খুঁজে বের করবেন। দেশে হোক কিংবা বিদেশে গাদ্দাফির বিরোধিতা করা মানে তাঁর জীবনের পরিসর সংক্ষিপ্ত করে ফেলা।

গাদ্দাফির চারপাশে সশস্ত্র নারী সৈন্যদের পাহারা দেখা যেত সব সময়। গাদ্দাফি তাঁর নিরাপত্তার জন্য লিবিয়ার লোক না নিয়ে আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকে ভাড়া করে মহিলা সৈনিক নিয়ে এসেছিলেন। এ আমাজন বাহিনী তাঁর ত্রিপোলির প্রাসাদ রক্ষা করত। বেদুইনদের মতো একাধিক বিয়ে করেছিলেন। ৪২ বছরের শাসনামলে গাদ্দাফি তেল সম্পদকে ব্যবহার করে লিবিয়াকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন; কিন্তু দুঃশাসনের কারণে মানুষের অসন্তোষ, অসমতা দূর করতে পারেননি তিনি। একসময় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক বিপর্যয় নামে একসঙ্গে। ফিলিস্তিন ছাড়া রাজতন্ত্র প্রভাবিত এ অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কয়েক দশক যাবৎ মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেন আলীর পতনের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে জ্বলে ওঠে গণ আন্দোলনের বহ্নিশিখা। তিউনিসিয়া, মিসর, জর্ডান, লেবানন, মরক্কো, আলজেরিয়া ও সিরিয়া হয়ে এ গণবিক্ষোভের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ লিবিয়ায়। প্রতিটি রাষ্ট্রের বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি- সরকার পতন। জনরোষে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেন আলী ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর কারণে অন্যান্য দেশের বিক্ষোভকরীরাও বিপুল উৎসাহে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নেমে পড়েন। মিসরে গণ আন্দোলনে দীর্ঘ ৩০ বছর ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে থাকা প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারকের পতনের পরপরই ৪২ বছরের স্বৈরশাসক লিবিয়ার কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে শুরু হয় আন্দোলন। শেষ পর্যন্ত পশ্চিমা জোটের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে পতন হয় গাদ্দাফির। 

লিবিয়ার বিশৃঙ্খল রাজনীতি, দুর্দশাগ্রস্ত অর্থনীতি এবং চরম অরাজক অবস্থার মধ্যে শান্তির অবতার হিসাবে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনীর কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি অল্প সময়ে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন এবং দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেন। এত উন্নয়নের পরও কেন গাদ্দাফির শোচনীয় পতন হলো তার নেপথ্য কারণ জানতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করেছেন।

আর্থসামাজিক উন্নয়ন কখনো গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার পরিপূরক হতে পারে না। গাদ্দাফির শাসনামলে লিবিয়া ছিল রূপকথার দেশ। রাস্তার দুই পাশের সাধারণ বাড়িঘরের জৌলুশ ছিল প্রাসাদের মতো। ধূসর সাহারার মরু প্রান্তরের বেদুইনদের বাড়িঘরও ছিল আরব্য রজনীর কোনো স্বপ্নপুরীর মতো। অভাব-অভিযোগ, চুরি-ডাকাতি, সামাজিক অপরাধ ইত্যাদি উধাও হয়ে গিয়েছিল। সিনেমার মতো পরিপাটি এবং সাজানো গোছানো ছিল নাগরিক জীবন। তবে গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন গোত্র অস্ত্র হাতে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। পুরো দেশের শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় শাসন বলতে কিছু নেই। যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার ধ্বংসস্তূপের পাশ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে একজন নাগরিকের মুখেও শোনা যাবে না যে আমরা গাদ্দাফির আমলে ভালো ছিলাম। বরং সবার মুখে প্রায় সমস্বরে এ অভিযোগ উঠবে, গাদ্দাফির কারণেই তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তার একগুঁয়েমির কারণে পশ্চিমা দুনিয়াসহ আরব বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, অতিমাত্রার গণতন্ত্রহীনতার কারণে সামাজিক সংহতি বিনষ্ট এবং একদলীয় স্বৈরাচারী শাসনের কারণে সামাজিক অসন্তোষ, পারস্পরিক ঘৃণা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। পতনের সব ক্ষেত্র যেন প্রস্তুত করাই ছিল। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। কর্নেল গাদ্দাফির মৃত্যু নিয়ে নানা আলোচনা প্রচলিত আছে। ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পতনের পর পশ্চিমা বাহিনীর যৌথ আক্রমণের মুখে কর্নেল গাদ্দাফিসহ কয়েকজন দুটি বড় কংক্রিটের পাইপের ভিতরে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি ছিলেন আহত ও বিপর্যস্ত। দুপুর ১২টার দিকে কর্নেল গাদ্দাফিকে জীবিত কিন্তু গুরুতর আহত অবস্থায় আটক করা হয়। আলজাজিরা টিভিতে দেখা যায়, বিভ্রান্ত গাদ্দাফিকে বিদ্রোহী যোদ্ধারা টানাহেঁচড়া করছে। পরে প্রচার করা হয়, বিপ্লবী বাহিনী আর গাদ্দাফি বাহিনীর গোলাগুলির ক্রসফায়ারে তাঁর মাথায় গুলি লাগে এবং তিনি মারা যান।

লেখক : সাংবাদিক

ইমেইল:  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
বাজারে অস্বস্তি
বাজারে অস্বস্তি
সাগরে জাগছে চর
সাগরে জাগছে চর
ব্যবসাবাণিজ্য সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা
ব্যবসাবাণিজ্য সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদ
বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদ
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
সংস্কারে গতি আসুক
সংস্কারে গতি আসুক
মাত্রা ছাড়াচ্ছে নদীদূষণ
মাত্রা ছাড়াচ্ছে নদীদূষণ
নতুন বছরের প্রত্যাশা
নতুন বছরের প্রত্যাশা
রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের ক্ষতি
রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের ক্ষতি
নতুন দিনের কৃষি
নতুন দিনের কৃষি
সর্বশেষ খবর
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে