শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

অগ্নিঝরা মার্চের অন্তরালের কিছু কথা

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
অগ্নিঝরা মার্চের অন্তরালের কিছু কথা

২০২৫-এর মার্চ মাস এমনভাবে অতিবাহিত হচ্ছে, যেন বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ মাস বলে কিছু ছিল না এবং এখনো নেই। ১৯৭০ সালের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার দুরভিসন্ধির পরিণতি ছিল ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত মার্চ, যা ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সত্ত্বেও ১ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান কর্তৃক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা। তার এ ঘোষণা তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে দেয়, যার প্রথম শিকারে পরিণত হয় বিহারিদের মালিকানাধীন দোকানপাটসহ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে এবং প্রশাসনসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী লীগের হাতে চলে যায়। ৩ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রনেতারা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়। ছাত্রনেতাদের এ উদ্যোগের মুখ্য কারণ ছিল, তারা ধারণা করেছিলেন, শেখ মুজিব যদি ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন, তাহলে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে যে বিপ্লবী গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তা স্তিমিত হয়ে যেতে পারে।

শেখ মুজিবুর রহমান সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণার দিকে না গিয়ে অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। ৩ মার্চ যেহেতু জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ৭ মার্চ শেখ মুজিব রেসকোর্স ময়দানের ভাষণে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার ও ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। তিনি ভাষণ শেষ করেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। পরে ১৯৭২ সালে দেশে ফেরার পর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের সমাবেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা না দেওয়ার কারণ সম্পর্কে ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি বিশেষ করে ওই দিনে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে চাইনি। আমি তখন তাদের এ কথা বলতে দেওয়ার সুযোগ দিতে চাইনি যে, মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে এবং আমাদের জন্য পাল্টা আঘাত হানা ছাড়া বিকল্প নেই। আমি চেয়েছিলাম, তারাই আমাদের ওপর প্রথম আঘাত করুক।

মার্কিন দূতাবাসের কমিউনিকেশনেও এর সমর্থন পাওয়া যায় : মুজিব বেশ কজন বিদেশি সাংবাদিকের কাছে অব দ্য রেকর্ড স্বীকার করেছেন যে, তিনি রবিবার (৭ মার্চ) স্বাধীনতার সমপর্যায়ের কিছু ঘোষণা করবেন। তবে তিনি এ কথা বলেন যে, পূর্ব ও পশ্চিম অংশের উচিত তাদের নিজ নিজ সংবিধান রচনা করা এবং এরপর উভয় অংশের মধ্যে যোগসূত্র রক্ষার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পাকিস্তান এয়ারফোর্সের অন্তত একটি সি-১৩০ বিমানকে ঢাকায় আসতে দেখা যায় এবং নিয়মিত খবর আসছিল যে, পাকিস্তানের কমার্শিয়াল এয়ারলাইনসে সৈন্যদের ঢাকায় আনা হচ্ছে এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে জাহাজযোগেও সৈন্য আনা হচ্ছে। জানা গেছে, সামরিক বাহিনীর কিছু ব্যক্তির পক্ষ থেকে চাপ ছিল পূর্ব পাকিস্তানি নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রদেশের অবশিষ্ট অংশে ভীতিসঞ্চার করা।

২০২৫-এর মার্চ মাস এমনভাবে অতিবাহিত হচ্ছে, যেন বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ সারা দেশে যেভাবে বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছিল তা দমনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল মার্চের আগেই। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শক্তিপ্রয়োগের নির্দেশ দিলেও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান জনগণের ওপর গুলিবর্ষণ করার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। তাঁকে গভর্নর পদ থেকে অপসারণ করে লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খানকে গভর্নর নিয়োগ করা হয়। তিনিও নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের বিরোধী ছিলেন। তাকে গভর্নর হিসেবে নিয়োগ করার আগেও তিনি ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান প্রদেশগুলোর গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসকদের বৈঠক আহ্বান করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করা এবং পূর্ব পাকিস্তানে বিশৃঙ্খলা দমনে শক্তিপ্রয়োগের নির্দেশ দিলে গভর্নর আহসান ও সামরিক আইন প্রশাসক ইয়াকুব খান বৈঠক শেষে পৃথক আলোচনায় শক্তিপ্রয়োগের বিপর্যয়কর পরিণতির কথা বিবেচনা করে শক্তিপ্রয়োগে তাদের আপত্তির কথা প্রেসিডেন্টকে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।

ইয়াকুব খান তার চিঠিতে পূর্ব পাকিস্তানে দ্রুত অবনতিশীল ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানিয়ে শক্তিপ্রয়োগের পরিবর্তে রাজনৈতিক সমাধানের জরুরি আবশ্যকতার কথা জানান। তিনি যুক্তি প্রদর্শন করেন যে, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত অথবা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিদ্যমান ক্ষোভ প্রকাশ্য বিদ্রোহে রূপ নেবে এবং শেষ পর্যায়ে পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এ চিঠি পাওয়ার পর ইয়াহিয়া খান পুনরায় গভর্নর আহসান ও ইয়াকুব খানকে তলব করেন। তিনি তাদের বলেন, আমি আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারি, যদি আপনারা মি. ভুট্টোকে সম্মত করাতে পারেন। ভুট্টোই জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।

জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গভর্নর আহসান এবং সাহেবজাদা ইয়াকুব খান করাচি যান। ভুট্টো তাদের পরামর্শে কোনো গুরুত্ব প্রদান না করে বলেন যে, তারা বাঙালিদের পক্ষ থেকে যে সহিংস প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা করছেন তার কোনো ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বুর্জোয়াদের একটি দল এবং জনগণের দল নয়। এ দল গেরিলা যুদ্ধে লড়তে পারবে না। কোনো সহিংস প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে না। তারা রাওয়ালপিন্ডিতে ফিরে ইয়াহিয়া খানকে ভুট্টোর সঙ্গে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু অবহিত করার পর প্রেসিডেন্ট তাদের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে পর দিন শেখ মুজিবকে জাতীয় পরিষদ স্থগিত রাখার কথা জানাতে বলেন। ১ মার্চ এ ঘোষণা জাতীয়ভাবে করা হবে।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার নির্দেশমতো ১৯৭১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গভর্নর এস এম আহসান শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করতে যান এবং জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানালে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এ পরিস্থিতিতেও শেখ মুজিব সরকারকে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক ছিলেন। তিনি তার ক্রুদ্ধ সহকর্মীদের রুম থেকে বের করে দিয়ে গভর্নর আহসানের সঙ্গে একান্তে আলোচনা করেন। তিনি গভর্নরকে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে ইতোমধ্যে বিরাজমান বিস্ফোরণোন্মুখ পরিস্থিতির মধ্যে এ সিদ্ধান্তের পরিণতি হবে ভয়াবহ। আগামীকাল প্রকাশ্য ঘোষণার আগে আপনি যদি নতুন একটি তারিখ দিতে পারেন, তাহলে আমি জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হব।

গভর্নর আহসান আপ্রাণ চেষ্টা করেও ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আর কথা বলতে পারেননি। কোনোভাবে তিনি জেনারেল হামিদকে টেলিফোনে পেয়ে তাকে অনুরোধ জানান জাতীয় পরিষদ অধিবেশনের নতুন একটি তারিখ নির্ধারণের জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে কথা বলতে। জেনারেল হামিদও গভর্নর আহসানের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেননি। শেষ পর্যন্ত গভর্নর আহসান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে একটি সিগন্যাল পাঠিয়ে অনুনয় করেন রাতের মধ্যে নতুন তারিখ ঘোষণা করতে, কারণ আগামীকাল অনেক বিলম্ব হয়ে যাবে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কোনো সাড়া আসেনি।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে যেন আগুন লেগে যায়। এ ঘোষণার প্রতিবাদে ছাত্র-শিক্ষক, আইনজীবী-বিচারক, সরকারি কর্মচারী, শ্রমিক-দোকানিসহ সমাজের সব শ্রেণির মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। জনতা ঢাকার মতিঝিলে হোটেল পূর্বাণীর উদ্দেশে যেতে থাকে, যেখানে শেখ মুজিব তাঁর দলের জাতীয় পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে মুকিম তার পাকিস্তানস ক্রাইসিস ইন লিডারশিপ গ্রন্থে যথার্থই বলেছেন : এটা স্পষ্ট ছিল যে, জনগণ এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ চরম হতাশায় এমন মেজাজে ছিলেন- জনগণ জেগে উঠেছিল, তারা বক্তৃতা শোনার অবস্থায় ছিল না, তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে ছিল।

পূর্ব পাকিস্তান যখন বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফুঁসছিল, গভর্নর আহসান, সামরিক আইন প্রশাসক লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খান এবং পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী তখনো ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রেরিত সিগন্যালের উত্তর পাওয়ার জন্য গভর্নর হাউসে অপেক্ষা করছিলেন। রাত ১০টায় গভর্নর হাউসে টেলিফোন বেজে উঠলে গভর্নর আহসান ফোন ধরেন। ফোন করেছিলেন রাওয়ালপিন্ডি জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স থেকে লে. জেনারেল পীরজাদা। তিনি লে. জেনারেল ইয়াকুবকে চাইলে গভর্নর আহসান তাকে ফোন দেন। কয়েক মিনিট কথা বলার পর ইয়াকুব খান ফোন রেখে বলেন, এখন আমি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। এমন অপমানজনকভাবে পদচ্যুত করায় রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান অত্যন্ত মর্মাহত ও বিব্রত হন। ইয়াহিয়া খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আহসান, তার নিশ্চিত মনে হয়েছে যে, ইয়াহিয়া খান তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সাহেবজাদা ইয়াকুব খানও দ্বিধাগ্রস্ত, তিনি কোনো কথা বলতে পারছিলেন না। তিনি তার ক্যান্টনমেন্টের আবাসে চলে যান।

পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে আহসান প্রদেশের পরিস্থিতি সরেজমিনে যাচাই করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে বারবার অনুরোধ জানালেও তিনি আসেননি। গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করে সাহেবজাদা ইয়াকুব খানও প্রেসিডেন্টকে পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থিতি দেখতে আসার আমন্ত্রণ জানানোর ভুল করেন। ১৯৭১ সালের ৪ মার্চ ইয়াকুব খান রাওয়ালপিন্ডিতে লে. জেনারেল পীরজাদাকে ফোন করে বলেন, প্রেসিডেন্টের সফর কর্মসূচি যদি বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আমার পক্ষে পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। ঢাকা ও রাওয়ালপিন্ডির মধ্যে ফোনে আরও বেশ কয়েক দফা কথাবার্তা হয়। ইয়াহিয়া খান ও শেখ মুজিবের মধ্যেও ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়। সেদিনই গভর্নর ইয়াকুবকে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৫ মার্চ ঢাকায় আসতে সম্মত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত সবার মধ্যে স্বস্তির ভাব পরিলক্ষিত হয়। রাত ১০টায় ইয়াকুবের কাছে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ফোন করে জানান, তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন এবং ঢাকায় আসছেন না। ইয়াকুব তাকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও ইয়াহিয়া খান তার সিদ্ধান্তে অটল। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা শেষ করে তিনি লে. জেনারেল পীরজাদাকে ফোন করে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার আলোচনার কথা জানিয়ে বলেন, মেহেরবানি করে আমার পদত্যাগের কথা প্রেসিডেন্টকে জানাবেন। আমি কাল পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেব। গভর্নর হিসেবে লে. জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খান মাত্র চার দিন দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের ৬ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করেন, ২৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে। তিনি লে. জেনারেল ইয়াকুব খানের পরিবর্তে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে লে. জেনারেল টিক্কা খানকে নিয়োগ করেন। ৭ মার্চ টিক্কা খান ঢাকায় পৌঁছে বিমানবন্দরেই ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজার উদ্দেশে তির্যক মন্তব্য করেন : খাদিম, তোমার ডিভিশন এখানে বসে বসে কী করছে? সবকিছু কেমন তালগোল পাকিয়ে ফেলেছো! খাদিম তার বই অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রিতে লিখেছেন, তার অজ্ঞতাপূর্ণ ও অমার্জিত মন্তব্যে আমি নিজেকে ক্রুদ্ধ অনুভব করি এবং পাল্টা বলি, এখন আপনি এখানে, শিগগিরই আপনি স্বয়ং দেখতে পাবেন। পরদিন পূর্ব পাকিস্তান হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী টিক্কা খানকে প্রদেশের গভর্নর হিসেবে শপথ গ্রহণ করাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি ইতোমধ্যে জেনেছেন, গভর্নর হাউসের কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করেছে, অতএব তাকে ক্যান্টনমেন্টেই থাকতে হয়। পূর্ব পাকিস্তান এবং প্রদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে টিক্কা খানের সুস্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্যদের বিমানযোগে পূর্ব পাকিস্তানে আনা অব্যাহত ছিল।

ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান হিসেবে টিক্কা খান শুরুতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নির্দেশ অনুযায়ী সৈন্যদের ক্যান্টনমেন্টগুলোতে রাখতে এবং উসকানিমূলক মনে হতে পারে এমন কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। সেজন্য স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান, রেডিও পাকিস্তান এবং ঢাকা টেলিভিশন স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে প্রহরার কাজে নিয়োজিত থাকা ছাড়া ঢাকার অন্যান্য স্থান থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার করে ক্যান্টনমেন্টে ফিরিয়ে আনা হয়।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার আশা করছিল, যুক্তরাষ্ট্র তার পক্ষে থেকে পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনে সর্বাত্মক সহায়তা করবে। কিন্তু ইয়াহিয়া খানের সে আশা পূর্ণ হয়নি। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের সিনিয়র রিভিউ গ্রুপের বৈঠকে সেক্রেটারি অব স্টেট হেনরি কিসিঞ্জার বলেন,  আমরা যে এগিয়ে যাইনি, তার আরেকটি কারণ ছিল যে, পশ্চিম পাকিস্তান অত্যন্ত সন্দিগ্ধ ছিল যে, আমরা একটি পৃথক পূর্ব পাকিস্তান রাষ্ট্রকে সমর্থন করছি। আমরা যদি ইয়াহিয়াকে বল প্রয়োগ করতে নিষেধ করি, তাহলে সেই সন্দেহে আরও ইন্ধন দেওয়া হবে।

ভুট্টোর চাপে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করায় পূর্ব পাকিস্তানে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তার শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পাওয়ার আশার অবসান এভাবেই ঘটে। পূর্ব পাকিস্তান আর আওয়ামী লীগের ছয় দফা দাবির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। সারা দেশ পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল। সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার ও সৈনিকদের যারা পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন সেনানিবাসে ছিলেন, তাদের মধ্যেও বিদ্রোহের চেতনা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল সময়ের ব্যাপার। সে সময়ও আর দূরে ছিল না।

 

    লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, অনুবাদক, নিউইয়র্ক

এই বিভাগের আরও খবর
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
বাজারে অস্বস্তি
বাজারে অস্বস্তি
সাগরে জাগছে চর
সাগরে জাগছে চর
ব্যবসাবাণিজ্য সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা
ব্যবসাবাণিজ্য সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদ
বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদ
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
সংস্কারে গতি আসুক
সংস্কারে গতি আসুক
মাত্রা ছাড়াচ্ছে নদীদূষণ
মাত্রা ছাড়াচ্ছে নদীদূষণ
নতুন বছরের প্রত্যাশা
নতুন বছরের প্রত্যাশা
রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের ক্ষতি
রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের ক্ষতি
নতুন দিনের কৃষি
নতুন দিনের কৃষি
সর্বশেষ খবর
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

৫৮ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে