শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২৫

দেশই সবকিছু, ব্যক্তি বা পরিবার নয়

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
দেশই সবকিছু, ব্যক্তি বা পরিবার নয়

রাজনীতি তো কোনো ধর্ম নয় যেকোনো আধ্যাত্মিক ব্যক্তির নেতৃত্বে এর আবির্ভাব ও বিকাশ ঘটেছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতির বিকাশ কীভাবে ও কেন ঘটল? বাংলাদেশে যারাই রাজনীতি করেন, এমনকি যারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতিও করেন, কোরআনের আইন চান অথবা রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চান, অবাক করার মতো ব্যাপার হলো, তারাও পাশ্চাত্যের আধুনিক গণতন্ত্র, এক কক্ষ বা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট, এক ব্যক্তি এক ভোট, সংসদীয় ধরনের সরকারব্যবস্থা ইত্যাদির জয়গান করেন। এসবের মাধ্যমে ধর্মীয় লোকজন প্রত্যক্ষভাবে হলেও স্বীকার করেন যে রাজনীতিতে ধর্মের প্রায়োগিক কোনো উপযোগিতা নেই। ধর্ম পৃথিবীতে মানুষকে নীতিনৈতিকতা, শৃঙ্খলাবোধ শেখাতে পারে, যা অন্য সাধারণ মানুষের মতো রাজনীতিবিদদের তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সৎ, নিষ্ঠাবান ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকার সহায়তা করার অন্যতম গুণাবলি। সব ধর্মের মূল সুর পার্থিব জীবনের চেয়ে সুখের হোক, দুঃখের হোক পরকালীন অনন্ত জীবন।

বাংলাদেশের জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই বুঝে হোক, আর না বুঝে হোক, তারা রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনা ও বিকাশের জন্য সংসদীয় গণতন্ত্র এবং ব্যক্তিগত জীবনের জন্য ধর্ম চায়। জনগণের এই চাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাজনীতিতে ব্যক্তি ও পরিবারপ্রধান হয়ে ওঠার কারণ ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বিগত ৭৭ বছরেও ভারতবর্ষের মানচিত্রের পূর্বাংশে অবস্থিত পূর্ববঙ্গ প্রথমে পাকিস্তান নামে এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন হলেও ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক জনগণকে ভোটের মর্ম বোঝানোর ব্যর্থতা। এর ফলে গত পোনে আট দশকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে ভোটাররা অর্থাৎ জনগণ দলে দলে বিনা-খরচায় চা-শিঙাড়া ও পানবিড়ি খেয়ে তাদের পছন্দনীয় দলের প্রার্থী কলাগাছ হলেও তাদের ভোট দিয়ে অথবা ভোট দেওয়ার দায়িত্ব দলের লাঠিয়ালদের ওপর ন্যস্ত করে বিপুল ভোটে জয়ী করে সেসব অসার কদলী বৃক্ষকে মহান জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছে।

জনগণ ভোটের মর্ম না বুঝলে এবং একটি পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন বা বিনা ভোটে নির্বাচিত হলে এবং শীর্ষ ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক দল অনুরূপ ধরনের নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে দাবি করতে কোনো দ্বিধা করে না। যেহেতু ব্যক্তি এবং উক্ত ব্যক্তির পরিবারের আনুগত্য ও বন্দনাই দলের অন্য নেতাদের উচ্চপদ লাভসহ অবাধ লুটপাট করার সুযোগ সৃষ্টির প্রধান যোগ্যতা, সেজন্য কেবল দলের সেই শীর্ষ ব্যক্তিই নয়, এমনকি তার গৃহভৃত্যরাও দলের অন্য নেতা-কর্মীদের তোষামোদের পাত্রে পরিণত হয়। এভাবেই বাংলাদেশে সংসদীয় ধাঁচের গণতন্ত্র ও ভোটের নামে অলিখিত রাজতান্ত্রিক শাসনের সূচনা করেছিলেন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতার শিরোপাপ্রাপ্ত মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, যদি তিনি রূপকথার রাজার মতো হতে না চাইতেন, তাহলে তিনিও বাপুজি-খ্যাত ভারতের জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর মতো সবার শ্রদ্ধাভাজন থাকতে পারতেন। তিনি কী প্রাচীন গ্রিক রাজনৈতিক দর্শন থেকে রাজা হওয়ার শিক্ষা লাভ করেছিলেন?

my soulপ্রাচীন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল তার গুরু প্লেটোকে অনুসরণ করে সরকারের ধরনের ওপর বলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কের বর্ণনা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি মানুষ এবং তাদের পোষা  প্রাণী, স্ত্রী, দাস এবং শিশুদের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ধরা যাক, একটি পরিবারের কাঠামো রাজতান্ত্রিক, কারণ প্রতিটি  পরিবার মাত্র একজন শাসক দ্বারা পরিচালিত। স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের ওপর প্রজাতান্ত্রিক আচরণ করে এবং তাদের সন্তানদের ওপর রাজতান্ত্রিক সরকারের আচরণ করে; তারা দাসদের ওপর তাদের রাজনৈতিক অবস্থানকে এবং পরিবারের ওপর তাদের রাজকীয় অবস্থানকে ব্যবহার করে।

কিন্তু অ্যারিস্টটল যখন পারিবারিক সম্পর্কে তারই তৈরি এই রূপককে রাজনৈতিকভাবে প্রয়োগ করতে চেষ্টা করেন, তখন তিনি একইভাবে উপলব্ধি করেন যে এ ধরনের উপমা প্রয়োগের সুযোগ সীমিত অথবা আদৌ কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু শেখ মুজিব অ্যারিস্টটলের রূপকের শাসক হতে চেয়েছিলেন এবং তার পরিবার ছিল তার বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথামালার রাজনীতির শিকার জনগণ। দেশ, দেশবাসী ও গণতন্ত্রের জন্য তার ভালোবাসার কথা যে প্রকৃতপক্ষে তার নিজের ও দলের স্বার্থ উদ্ধারে জনগণকে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে তার সহজাত বাকচাতুর্যের অংশ ছিল, জনগণ তা উপলব্ধি করার মতো শিক্ষিত বা মেধাসম্পন্ন ছিল না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত বিশাল জনসমাবেশে তিনি বলেছিলেন, আমি, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার চাই। তিনি ১৯৭৫-এ বাকশাল গঠন ও দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধীশ্বর হয়ে প্রমাণ করেছেন যে তিনি যা বলতেন, তা বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু জনগণ তাকে বিশ্বাস করেছিল, তাদের সেই বিশ্বাসের অবমাননা করার পরিণতি তাকে করুণভাবে ভোগ করতে হয়েছে। তার পতন ছিল তার রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার ফলশ্রুতি।

বদ্বীপ অঞ্চলের মানুষের এ এক সমস্যা, সবাই আবেগের দাস। তাদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আবেগ প্রবল। তারা বিপুল সংখ্যায় ধর্মীয় সমাবেশে যায়, সারা রাত আলেম-উলামা ও গুরুদের কথা শোনে, নবী-অবতারদের ত্যাগের কাহিনি শুনে চোখের পানি ফেলে; অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতাদের জ্বালাময়ী ভাষণে উদ্দীপ্ত হয়ে অস্ত্র হাতে ধেয়ে যায় কারও জীবন নিতে ও নিজের জীবন দিতে। আমার বয়সি মানুষের স্মৃতিতে ১৯৭১-এর দৃষ্টান্ত এখনো উজ্জ্বল। ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে হলেও ব্যাপক অর্থে অরাজনৈতিক কারণে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে তরুণদের মধ্যে জীবন দেওয়ার যে উন্মাদনা দেখা গেছে, তা ছিল আবেগের বিস্ময়কর প্রতিফলন।

১৯৭৫ সালে পিতার পরিণতি থেকে শেখ হাসিনার শিক্ষা গ্রহণের যথেষ্ট সুযোগ ছিল। কিন্তু ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনাকে যেভাবে শেখ মুজিবসর্বস্ব আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচন করে ভারত থেকে আনা হয়েছিল, তাতে তার মধ্যে অহঙ্কার, সপরিবার পিতৃহত্যার প্রতিহিংসা চরিতার্থ স্পৃহা জাগ্রত হওয়া ব্যতিক্রম কিছু ছিল না। তিনি যদি কেবল ব্যক্তি শেখ হাসিনা হতেন, তাহলে প্রতিশোধ গ্রহণে যে জিঘাংসার পরিচয় দিয়েছেন, এমনকি একই কারণে দেশবাসীর ওপর যে হত্যাযজ্ঞ ও তাণ্ডব চালিয়েছেন তা সম্ভব হতো না। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার আগে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পরিচয় বা অবস্থান কী ছিল? কিছুই না। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কন্যা ও একজন বিজ্ঞানীর স্ত্রী ছিলেন। তিনি কী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন বা সভাপতি হওয়ার জন্য আগ্রহী ছিলেন? অথবা তার মাঝে কি আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতা হিসেবে দলকে পরিচালনা করার যোগ্যতা ছিল? আদৌ ছিল না। তার এ পদলাভ উত্তরাধিকার সূত্রে ছিল না অথবা শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরূপ কোনো ওয়াসিয়তও ছিল না যে তার অবর্তমানে তার জ্যেষ্ঠ সন্তান দলে তার পদাভিষিক্ত হবেন। আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্রের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে সেই গণতন্ত্রে পিতার স্থলে পুত্র-কন্যার অভিষিক্ত হওয়ার সুযোগও নেই। দলের শীর্ষনেতা নির্বাচনের পদ্ধতি অনুসরণ না করেই তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার পিতার নাম ও গুরুত্বকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছিল মাত্র।

বাংলাদেশের ভাগ্যনিয়ন্তা হওয়ার জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে শেখ হাসিনাকে খুব বেগ পেতে হয়নি। দৃশ্যত আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ ও বিএনপির মিত্র জামায়াতে ইসলামী বিএনপির প্রতি বিরাগ পোষণ করে ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগকে বিপুলভাবে বিজয় অর্জনের পথ করে দেয়। ১৯৭৫ সালের ২১ বছর পর আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা এবং এরই ধারাবাহিকতায় মাঝখানে মাত্র এক মেয়াদ ছাড়া ২০০৯ সাল থেকে টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতা দখলে রেখে দেশবাসীর ওপর তাদের জুলুম ও  জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন এবং সর্বোপরি ক্ষমতার চিরস্থায়ী আওয়ামীকরণের পেছনে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতের বালসুলভ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হলে, তা বাড়িয়েও বলা হবে না অথবা ঐতিহাসিকভাবেও তা অসত্য হবে না। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব সৃষ্টির পেছনে জামায়াতের একজন মাত্র ব্যক্তি সম্পর্কে বিএনপি সরকার জামায়াতের অনুকূলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করায় অথবা সে সম্পর্কে সরকার নীরবতা পালন করায় জামায়াত নিজেদের পরিণতি ও দেশের ভবিষ্যৎ না ভেবে রাজনৈতিক মূর্খতার পরিচয় দিয়েছিল। অবশ্য জামায়াত এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি যে কী কারণে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তারা বিএনপির ওপর নাখোশ হয়েছিল। জামায়াতের আচরণকে রহস্যজনক মনে হতো না, যদি তারা আবারও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে গাঁটছড়া না বাঁধত।

ব্যক্তিনির্ভর কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আসীন থাকলে রাষ্ট্র যে সেই ব্যক্তির জমিদারি এবং জনগণ যে তার প্রজা হয়ে ওঠে, আধুনিক বিশ্বে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯-২০২৪ পর্যন্ত সাড়ে ১৫ বছরের বাংলাদেশ তারই দৃষ্টান্ত। শেখ হাসিনা ছিলেন ৫৬ হাজার বর্গমাইল আয়তনবিশিষ্ট বাংলাদেশের প্রবল পরাক্রমশালী জমিদার, অথবা একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী এক রানি এবং দেশের ১৮ কোটি মানুষ তার প্রজা। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এক লাঠিয়াল বাহিনীর নাম। লাঠিয়াল বাহিনীর এমনই দাপট যে তাদের অত্যাচারে ক্ষুব্ধ জনগণের মাঝে ধূমায়িত ক্ষোভের মাত্রা তারা বুঝতে পারেনি। নিজেদের অজেয় ভেবেছিল তারা এবং তাদের জমিদার বা রানিকে ভেবেছিল দশহস্তবিশিষ্ট দেবী মা দুর্গার প্রতিরূপ। সবকিছুর যে বিলয় বা ধ্বংস আছে, তাদের মাথায় তা প্রবেশ করেনি। যদি প্রবেশ করেও থাকে তা এমন এক সময়ে প্রবেশ করেছে যখন তারা ধ্বংসের প্রান্তে চলে গিয়েছিল, যেখান থেকে তাদের আর ফেরার উপায় ছিল না। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে এটাই ঘটেছে। নিপীড়িত দেশবাসীর পুষে রাখা ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টে এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার লাঠিয়াল বাহিনী আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের অবসান ঘটে।

শেখ হাসিনার পতন ঘটলেও শাসকের দম্ভ, আত্মগর্ব ও ঔদ্ধত্য বাংলাদেশ ও দেশবাসীর জন্য যে কত সর্বনাশা ও ধ্বংসাত্মক ছিল বাঙালি তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছে। ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা শুধু বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত থেকে অন্যান্য দেশেরও শেখা উচিত। কবি জন কিটস তাঁর ওড টু এ নাইটিংগেল কবিতায় বলেছেন, দাম্ভিকতা মানুষকে আত্মগর্বে অন্ধ করে ফেলে, বিষণ্নতায় ঠেলে দেয়। তার মাঝ থেকে নম্রতা, শালীনতা ও ভব্যতার গুণ হারিয়ে যায়। তিনি যা বলেন তা পরিণত হয় অহঙ্কারের প্রলাপে।  অনিয়ন্ত্রিত অহঙ্কার তাকে শ্রেষ্ঠত্বের বিপজ্জনক অনুভূতিতে জাপটে ধরে এবং বেলুনের মতো স্ফীত হতে থাকে। কবি পার্সি শেলি তাঁর এক কবিতায় এই বিভ্রম বা মনোবৈকল্যকে একসময়ের পরাক্রমশালী শাসকের উপড়ে ফেলা মূর্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা ছিল সেই শাসকের অহঙ্কার এবং ক্ষমতার ক্ষণস্থায়ী বৈশিষ্টের প্রমাণ। কবি লিখেছেন : Look on my works, ye mighty, and despair! (আমার কাজগুলো দেখ, হে পরাক্রমশালী এবং আমার হতাশা দেখ)! শাসকের অহঙ্কারের পরিণতি ছিল কারণ তার সাম্রাজ্যের ধ্বংস। পিতা শেখ মুজিব ও কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখার যে একগুঁয়েমি করেছেন তাতে দেশ এক পা এগিয়ে বহু পা পিছিয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরের মধ্যে প্রায় ২৫ বছরই বাংলাদেশ শাসন করেছে আওয়ামী লীগ। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখার জন্য যত ব্যগ্র দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার দিকে তারা মনোযোগী না হওয়ায় বাংলাদেশ বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছে। 

কবি উইলিয়াম আর্নেস্ট হেনলি তার ইনভিকটাস কবিতায় শাসকের আত্মকেন্দ্রিকতা ও অতি ঔদ্ধত্যের প্রতিধ্বনি করেছেন, তা শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে পুরোপুরি প্রযোজ্য। কবিতার শেষ লাইনটি হচ্ছে : I am the master of my fate, I am the captain of my soul. (আমিই আমার ভাগ্য নিয়ন্তা, আমিই আমার আত্মার পরিচালক)। আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে তা-ই ঘটেছিল। তিনি তাকে মোকাবিলা করতে সক্ষম কোনো প্রতিপক্ষ দেখেননি। দৃশ্যমান সব প্রতিপক্ষকে নির্মূল করে তিনি তার চারপাশে গড়ে তুলেছিলেন সীমাহীন দম্ভের বলয়। কবি টি এস এলিয়টও একইভাবে তার দ্য লাভ সং অব জে আলফ্রেড প্রুফ্রোক-এ বলেছেন যে, অহঙ্কারী ব্যক্তি ভাবতে অক্ষম যে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তার মনে সন্দেহ উঁকি দেয়। কিন্তু অহঙ্কার ও দম্ভ কাটিয়ে উঠতে পারেন না। তিনি আত্ম-অহঙ্কারে আচ্ছন্ন, তার বিশ্বাস তার কাজের পরিণতি হবে সুদূরপ্রসারী। 

শেষ পর্যন্ত তার অহংবোধের কাছে পরাভূত হতে চান না। কিন্তু পরাজিত হতেই হয়। দুঃশাসনের অনিবার্য পরিণতি পরাজয় ও পলায়ন এবং অদৃষ্ট মন্দ হলে জনরোষে মৃত্যু। শেখ হাসিনা জীবিত আছেন। দিল্লির অজ্ঞাত, কিন্তু নিরাপদ অবস্থান থেকে  তিনি এখনো দম্ভোক্তি করে চলেছেন, সীমাহীন ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করছেন। দিনের পর দিন উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে তিনি কী দেশকে অস্থিতিশীল করায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন এবং দেশবাসীকে কী আবারও বিপদের মধ্যে ফেলতে যাচ্ছেন? এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোনো আওয়ামী লীগের মতো অশুভ ও বারবার অধঃপতিত রাজনৈতিক শক্তি দেশের কোনো ক্ষতিসাধন করতে না পারে।

    লেখক : নিউইয়র্কপ্রবাসী, সিনিয়র সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
বাজারে অস্বস্তি
বাজারে অস্বস্তি
সাগরে জাগছে চর
সাগরে জাগছে চর
ব্যবসাবাণিজ্য সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা
ব্যবসাবাণিজ্য সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদ
বাংলাদেশে গণতন্ত্র মানেই ফ্যাসিবাদের ফাঁদ
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক
সংস্কারে গতি আসুক
সংস্কারে গতি আসুক
মাত্রা ছাড়াচ্ছে নদীদূষণ
মাত্রা ছাড়াচ্ছে নদীদূষণ
নতুন বছরের প্রত্যাশা
নতুন বছরের প্রত্যাশা
রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের ক্ষতি
রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের ক্ষতি
নতুন দিনের কৃষি
নতুন দিনের কৃষি
সর্বশেষ খবর
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

৫৮ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে