কোথায় আছেন এখন?
এখন পূবাইলে আছি। মাছরাঙা টিভিতে প্রচার-চলতি ধারাবাহিক 'মামলাবাজ'র শুটিং করছি। এটি পরিচালনা করছেন সৈয়দ শাকিল। বৃষ্টির আশঙ্কা নিয়ে প্রতিদিন শুটিং করতে হচ্ছে। এটা ডিরেকটরের জন্য পেরেশানির হলেও আমাদের শিল্পীদের জন্য আনন্দের। মজা করা যায়।
ঈদের নাটকের কী অবস্থা?
এবারের ঈদে ছয় পর্বের তিনটি নাটকে অভিনয় করছি। সালাহউদ্দিন লাভলুর 'জামাইজট' ও 'জুয়াবাজি' এবং এজাজ মুন্নার নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি। পাশাপাশি আরও কিছু একক নাটকে কাজ করছি। তার মধ্যে কাজল বড় ভালো ছেলে, যন্ত্রণার চূড়ান্তে, খেলা পাগল, বিয়ে নিয়ে খেলা, ফাঁসি দিবস-সহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। এ ছাড়া আগে কাজ করা কিছু একক নাটকের কয়েকটি এবারের ঈদে প্রচার হতে পারে। সবমিলিয়ে এবারের ঈদ উৎসবের জন্য প্রস্তুত আছি।
এবারের ঈদে আপনার পরিচালনায় কোনো নাটক থাকছে?
ঈদে আলাল-দুলাল আর এজাজ মুন্নার রচনায় এজাজের মেজাজ নাটক দুটি পরিচালনা করব। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
ধারাবাহিক নাটকের কী খবর?
কয়েকটি চ্যানেলে আমার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। এর মধ্যে নোয়াশাল, ১০০ হাত দূরে থাকুন, আগুন খেলা, মামলাবাজ, যোগাযোগ গোলযোগ, ভালোবাসা কারে কয় ইত্যাদি।
বাতাসের ঘ্রাণ নামের একটি নাটকে এই প্রথমবার আপনার পুরো পরিবার অভিনয় করেছিল।
নাটকটি তৈরি হয়েছে হুট করেই। চুমকি তখন অন্তঃসত্ত্বা। আমরা দুজন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ নাটকটির ভাবনা আমার মাথায় আসে। ক্যামেরা সঙ্গে ছিল, হোটেলে এসে গল্পটা সাজালাম। তবে চুমকি রাজিই হচ্ছিল না। পরে ওকে রাজি করিয়ে কাজটা শুরু করি। এরপর ঢাকায় ফিরে বাকি অংশের শুটিং করেছি। টেলিছবিটি বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার মিশেলে তৈরি। এটি প্রচার হয়েছে চ্যানেল আইতে। বেশ ভালো রেসপন্স পেয়েছি।
নিয়মিত পরিচালনা করার ইচ্ছা আছে?
বর্তমানে আমি অনেক নতুন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি। তাদের মধ্যে অনেকেই ভালো নির্মাণ করে। কিন্তু কিছু কিছু পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মাঝে মাঝে মনে হয় অভিনয় ছেড়ে পরিচালনায় চলে আসি। তবে আমার মন-প্রাণে অভিনয়। অভিনয় রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। পর্দায় আমি থাকব। পাশাপাশি পরিচালনাও করব। নিয়মিতই করব। ক্রিয়েটিভ কিছু কাজ করতে চাই।
এরপর কি চলচ্চিত্র?
হা হা হা...। ইচ্ছা তো আছে। চলচ্চিত্র সবচেয়ে বড় মাধ্যম। এই মাধ্যমে কাজ করার ইচ্ছা সবারই থাকে। আমারও আছে। চেষ্টা করব, নিজের কিছু স্বপ্ন পূরণের।
* আলী আফতাব