আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল সাতটি বছর। ২০০৮ সালের এই দিনে চলচ্চিত্র শিল্পসহ সমগ্র ভক্তকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মান্না।
ওই দিন মান্নার অকাল ও আকস্মিক মৃত্যু ছিল বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। যে মানুষটি রাত অবধি শ্যুটিং করলেন, প্রিয় কর্মস্থল এফডিসি থেকে হাসিমুখে বিদায় নিলেন, সকাল বেলা জানা গেল তিনি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বিস্মিত হতবাক সবাই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে লাগলো উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন মান্না- এমন সংবাদে যে যেভাবে পারলেন ছুটলেন ইউনাইটেড হাসপাতালে। দুপুরবেলা সবাইকে শোকে পাথর করে চিকিৎসকরা জানালেন, মান্না নেই। এমন দুঃসংবাদের জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। প্রিয় নায়ক মান্নাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য ভক্তদের সে কি উন্মাদনা। এফডিসিজুড়ে স্বজনদের আহাজারি।
তাকে হারিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন তার সহকর্মীরা। পর্দায় প্রতিবাদী নায়ক মান্না ছিলেন বাস্তবেও একটি প্রতিবাদী চরিত্র। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই ছিল তার স্বভাব। প্রতিবাদই তাকে দর্শকমনে স্থায়ী আসন দিয়েছিল। আজ মান্নার সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। এফডিসিতে মান্নার স্মৃতি বিজড়িত জায়গাগুলো যেন একবুক শূণ্যতায় হাহাকার করছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/ এস আহমেদ