'রূপালী পর্দায় বেঁচে থাকতে চাই, চাই দর্শক হৃদয়ে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে। সে লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছি। অভিনয়ের সেরাটা দেওয়ার চষ্টো করি, সেটা যে প্ল্যাটফর্মেই হোক না কেন।' বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এমনটাই বললেন ইমতু রাতিশ। তার সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। একাধারে তিনি উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেতা। ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছেন বড় পর্দায়ও। নারগিস আক্তারের পরিচালনায় সেলিম আল-দীনের 'যৈবতী কন্যার মন' নাটক অবলম্বনে নির্মিতব্য ছবিতে অভিনয় করেছেন ইমতু। বর্তমানে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত মেগা সিরিয়াল 'পালকী'তে অভিনয় করে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন।
ইমতুর শুরুটা ২০০৭ সালের প্রথম দিকে। মিডিয়া পাড়ায় বিচরণ অনেকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ইমতু বলেন, 'সেটা ২০০৭ সালের কথা। ব্যক্তিগত কারণে কারওয়ান বাজারে একটা অফিসে গিয়েছিলাম। লিফটে ছিলেন বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজা ভাই। প্রথম দর্শনেই হয়তো আমাকে তার ভালো লাগে। এরপর তিনি নিজেই তার বিজ্ঞাপনে কাজ করার প্রস্তাব দেন। শোনার পর অনেকটাই চমকে উঠি। তার মতো একজন নির্মাতা নিজেই বলছেন আমাকে নিয়ে কাজ করবেন। এটা অনেক বড় পাওয়া ছিল। পরবর্তীতে তার বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য অডিশন দেই। ব্যাস! টিকে গেলাম। অমিতাভ রেজার নির্মাণে পরপর তিনটি বিজ্ঞাপনে কাজ করি। এর পরের গল্প সবারই জানা।'
বিজ্ঞাপন-নাটক ছাড়া ইমতুকে পাওয়া যায় প্রাণবন্ত এক উপস্থাপক হিসেবে একুশে টেলিভিশনের 'সিনে হিটস'' এবং এটিএন বাংলায় 'তাজা চায়ের চুমুকে' নামের দু'টি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে। এছাড়া বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোতেও দেখা মেলে এই তারকাকে।
বর্তমানে 'পালকী' নাটক নিয়ে মহাব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন ইমতু। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এই নাটকটি এখন আমার ধ্যান-জ্ঞান। বিশাল বাজেটের এই ধারাবাহিক ইতোমধ্যে দর্শকরা সানন্দে গ্রহণ করেছে। যেখানেই যাচ্ছি সাড়া পাচ্ছি।'
কেউ কেউ অভিযোগ করেন নাটকটি ভারতীয় সিরিয়ালের আদলে এমন প্রশ্নের প্রতিউত্তরে ইমতু বলেন, 'দেখুন মুক্তবাজার অর্থনীতিতে এ ধরনের অভিযোগ অনেকটাই বেমানান। এটা ঠিক কিছু কিছু জিনিস ভারতীয় সিরিয়ালের সঙ্গে মিলে কিন্তু কাহিনী ও চিত্রনাট্য সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অবয়বে। এমনকি পোশাক পরিচ্ছদেও দেশীয় মুন্সিয়ানা দেখানো হচ্ছে। দর্শকরা যদি ওই সব সিরিয়াল গ্রহণ করে থাকে তাহলে আমাদেরটা নিয়ে কেন নাক সিটকাবে।'
এছাড়া ভবিষ্যতে বড় পর্দায় শক্ত অবস্থান গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ইমতু বলেন, 'ছোট পর্দায় মোটামুটি একটা অবস্থান তৈরি হয়েছে। এবার পাড়ি দিতে চাই চলচ্চিত্রে। অভিনয়ের সবচেয়ে বড় এই মাধ্যমটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বেঁচে থাকতে চাই রূপালী পর্দায়। এক কথায় বলতে গেলে টি-টুয়েন্টি নয় খেলতে চাই টেস্ট ইনিংস।'