নতুন সঙ্গীতবিষয়ক রিয়ালিটি শো ‘সুপার সিঙ্গার’র বাছাই পর্ব সম্প্রচারিত হল রবিবার। শোয়ের বিচারক কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, কুমার শানু, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সঞ্চালক যিশু সেনগুপ্ত।
জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন, “এখানে শুধু গান নয়,‘গান-বাজনা’ হয়। মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট শেখানো হচ্ছে, ইনস্ট্রুমেন্ট বাজাতে শেখানো হচ্ছে, লিরিকস্ লেখা শেখানো হচ্ছে, অপেরা কী করে একটা গানের মধ্যে তৈরি করে এবং ইউজ করে সেটা শেখানো হচ্ছে। গ্রুমাররা আছেন, তারা শেখাচ্ছেন অ্যারেঞ্জমেন্টের ব্যাপারটা, টেকনিক্যাল ব্যাপারটা আমরা দেখছি। সব মিলিয়ে একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। এখানেই শো-টা আলাদা।”
শোয়ের প্রযোজক এবং পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বললেন, “ইচ্ছেটা এই যে, আমাদের ছেলেমেয়েরা এমন একটা মঞ্চ পাক, এমন একটা উচ্চতা পাক যেখান থেকে তারা আগামী দিনে সারা ভারতবর্ষে বা সারা পৃথিবীতে কাজ করতে পারবে।”
গান ও বাদ্য বিষয়ে পারদর্শী ১৪ জনকে পারদর্শিতার একটা সীমায় পৌঁছে দিতে চায় এই শো। সে প্রসঙ্গেকুমার শানু বলছেন, “এটা ঠিক শো নয়, ক্লাস বলা যেতে পারে। আমরা বড় শিল্পীদের কাছ থেকে যেগুলো শিখেছি সেগুলো নবীন শিল্পীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই, যাতে সেগুলো ইমপ্লিমেন্ট করে সফল হতে পারে।”
কবিতা কৃষ্ণমূর্তি যোগ করলেন, “আমরা কেবল বিচারকের মতো বসে থাকি না। আমরা শিক্ষক এবং বন্ধুও যাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা অনেক অনেক ভালবাসা,অ্যাফেকশন এবং মিউজিক শেয়ার করে।”
শুধুই কি গুরুগম্ভীর শেখা ও শেখানোর পাঠ চলছে এখানে? শুটের ফাঁকে কবিতা কৃষ্ণমূর্তিকে বোকা বানানোর সুযোগ হাতছাড়া করছেন নাশানু ও জিৎ। কবিতা হাটে হাড়ি ভাঙলেন, “আই অ্যাম দ্য ভিকটিম বিটুইন টু লিটিল রাসকেলস্।”
লিটিল রাসকেল্? বোকা বানানো ও বোকা হয়ে যাওয়ার অন্তর-কাহিনি বিশদে জানা না গেলেও হো হো করে হেসে উঠলেন উপস্থিত শ্রোতা।
এদিকে সঞ্চালকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিচারকেরা। এমনকি, কবিতা সঞ্চালকের সঙ্গীতবোধেরও প্রশংসা করলেন। যিশু সেনগুপ্তর সেন্স অব হিউমার বিষয়ে জানেন তাঁর পরিচিতরা। এখানেও তিনি স্বমহিমায়।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ