ভারতের দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর জীবন নিয়ে কৌতূহলের সীমা নেই। তার উপর কটাক্ষরও শেষ নেই। এবার সামান্থার সাম্প্রতিক বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে তাকে কদর্য আক্রমণ করল এক নেটিজেন। তার বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ নিয়ে খোঁটা তো বটেই, একইসঙ্গে সামান্থাকে 'সেকেন্ড হ্যান্ড আইটেম' বলে কুৎসিত আক্রমণ করতেও বাঁধল না তার। তবে গোটা ঘটনায় চুপ থাকলেন না সামান্থা। পাল্টা জবাব দিলেন তিনিও।
নাগা চৈতন্যর সঙ্গে সামান্থার বিচ্ছেদ হয়েছে কয়েক মাস আগেই। তাদের কী কারণে বিচ্ছেদ হয়েছে তা নিয়ে প্রকাশ্যে দুইজনের কেউই মুখ খোলেননি। সামান্থার ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, বিচ্ছেদের খোরপোশ বাবদ নাগা তাকে টাকা দিতে চাইলেও টাকা নিতে অস্বীকার করেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই নেটাগরিক সামান্থার উদ্দেশে লেখেন, “সামান্থা এক ডিভোর্সি নষ্ট হওয়া সেকেন্ড হ্যান্ড আইটেম যে কিনা ট্যাক্স বিহীন ৫০ কোটি টাকা এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে লুটে নিয়েছে।”
সামান্থা উত্তর দিয়েছেন, তবে মার্জিতভাবে। ওই ব্যক্তির উদ্দেশে এক লাইনে বক্তব্য সেরে তিনি লিখেছেন, “ঈশ্বর তোমার আত্মাকে আশীর্বাদ করুক”।
তবে শুধু এই ব্যক্তিই নয়, নাগার সঙ্গে সামান্থার বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে হয়েছে নানা জলঘোলা। নাগার ঘনিষ্ঠ বৃত্ত বলছে, বিয়ের পরেও সামান্থার আইটেম সং ও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ে নাকি চরম আপত্তি ছিল নাগা চৈতন্যের পরিবারের। বিশেষত 'ফ্যামিলি ম্যান' ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে সামান্থার শয্যা দৃশ্যে নাকি এতটাই অবাক হয়েছিলেন নাগার পরিবার যে সামান্থাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেছিলেন তারা। সামান্থার সাবেক শ্বশুর তথা নাগার বাবা নাগার্জুনও নাকি সামান্থার এমন দৃশ্যে অভিনয়ের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। অন্যদিকে সামান্থা শ্বশুরবাড়ির এই নিয়ন্ত্রণ মেনে নিতে না পারাতেই নাকি সম্পর্কের অবনতি হয়, যা গড়ায় বিচ্ছেদে।
কয়েকদিন আগে নাগার এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কীরকম চরিত্র তাঁর পছন্দ’? নাগা উত্তর দিয়েছিলেন, “এমন চরিত্র যা আমার বা আমার পরিবারের মান সম্মানে আঁচ না ফেলে’। অনেকেই মনে করেছিলেন আকার ইঙ্গিতে সামান্থার দিকেই আঙুল তুলেছেন নাগা। যদিও নাগা কারও নাম নেননি বা ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সামান্থা কোনও উত্তর দেননি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত