বাংলায় একটা কথা খুব প্রচলিত ছিল, 'ঘোমটার নিচে খ্যামটা নাচে'। এখন তো ঘোমটা নিতান্তই শিশু। ঘোমটার বাপ এসে গেছে সিনে। এখন হিজাব। এখন বোরখা। এখন নেকাব। কত অশ্লীল অদ্ভুত খ্যামটা নাচ নাচতে এসবের আশ্রয় নিয়েছে মেয়েরা, অথবা নিতে বাধ্য হয়েছে! মাথায় কাপড়ের বিড়া বাঁধো তো তুমি ভালো মেয়ে, লক্ষ্মী মেয়ে, একগামী মেয়ে, পতিব্রতা মেয়ে। তুমি কালো বোরখায় আপাদমস্তক ঢেকে নিজেকে কিম্ভূতকিমাকার বস্তু বানিয়ে ফেললে অজ্ঞান অশিক্ষিত অসভ্য লোকেরা তোমাকে পছন্দ করবে।...এই কারণেই তো হিজাব বোরখার আমদানি! সমাজ কতটা নষ্ট হলে মেয়েদের গারবেজ ব্যাগ বানায় বা মোবাইল প্রিজন বানায়...তা অনুমান করতে পারি।
এখন বোরখার তলায় কী হচ্ছে দেখুন। এরা জিহাদ করছে। এরা জিহাদি নারী। মানুষ খুন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভাববেন না এরা বস্তির গরিব মেয়ে, দারিদ্রের কারণে জিহাদি হয়েছে বা ইশকুল কলেজে যায়নি, ভালো মন্দ বোঝার জ্ঞান হয়নি, তাই জিহাদি হয়েছে। এরা জিহাদি হয়েছে কারণ জিহাদ করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য বলে এরা বিশ্বাস করেছে, বা এদের বিশ্বাস করানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার, আর তিনজন মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী।
আইসিসে গিয়ে মেয়েরা যৌনদাসী হতে বাধ্য হয়েছে, জিহাদিদের নৃশংস নির্যাতনে এক একটা যৌনদাসী মরেছে, ...তারপরও এই মেয়েগুলোর শিক্ষা হয় না। এদের জান্নাতবাসী হওয়ার লোভ!
(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ