পাশের ফ্লাটের মেডিকেলে পড়ুয়া এক ছোট বোনকে তার বয়ফ্রেন্ড কর্তৃক ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করার হুমকি ধামকি। অত:পর মেয়েটি তার পরিবারকে গত এক সপ্তাহ যাবৎ লজ্জায় আর সামাজিক ভয়ে কিছু বলতে না পেরে আমার কাছে কান্নাকাটি করে আজ সন্ধ্যায় ফোন করে হেল্প চাইলো। ইনসেন্ট মনে হলো আমারই মায়ের পেটের বোন কেঁদে কেঁদে তার ভাইকে বললো। ভাইয়া তোমার বোনকে বাঁচাও প্লীজ সাহায্য করো। আমি বাসায় আসলাম সব শুনলাম। ওই ছেলেকে ফোন দিলাম তার পরিবারের সঙ্গে কথা বললাম। আমার মেজাজ তখন কতো ডিগ্রী হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন। তারপর একজন ভাই হয়ে আমি বোনটির জন্য এতোক্ষণ যা যা করলাম তা সত্যি এক ইতিহাস।
ধন্যবাদ আমাদের প্রিয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের আমাকে সার্বিকভাবে আপনাদের অপারেশনে সহযোগিতা করার জন্য। আর আপনাদের নৈতিক আন্তরিক দায়িত্ব পালনের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
এখন যদি মরেও যাই একটা পরম সুখ নিয়ে মরবো। যে আমি একজন ভাই হিসেবে আমারই কোনো বোনকে এক নরপশুর কাছ থেকে বাঁচিয়ে তার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ।
লেখক: সংগীত শিল্পী
(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)