#প্রসঙ্গ ডুব
আমার এক বন্ধু/ বড় ভাই জাপানে গিয়েছিলেন পড়তে। তখনো জাপান দেশের আদব কায়দা ধাতস্থ করতে পারেন নাই। তো একদিন তিনি কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে মাঝ রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ খেয়াল করলেন একটি গাড়ি তাকে অতিক্রম করবার সময় মৃদু হর্ন চেপে বেড়িয়ে গেলো। এর মানে হলো ধন্যবাদ তোমাকে।
গাড়িটি অনেকক্ষণ আমাদের সেই বন্ধুর পিছন পিছন আসছিলো। যাবার সুযোগ পাচ্ছিলো না বন্ধুর অসতর্ক পথ চলার কারণে। যেই মাত্র আমাদের বন্ধু নিজে সরে গেলেন তখনই তাকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে যান গাড়ী চালক। গল্পটা বলার পেছনের উদ্দেশ্য ভদ্রতাবোধ।
এখন মূল গল্পে আসি, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমি ব্যাপক কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষা করছি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত 'ডুব' দেখার জন্য। আশা করছি এ সপ্তাহের কোন এক সুবিধাজনক সময়ে সিনেমাটা দেখে ফেলবো।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের বিক্ষিপ্ত দর্শকদের (অব্যশই সবাই নয়) আচরণ দেখে পূনরায় আমি হতাশ!!! এ কোন সংস্কৃতি আরম্ভ হলো আমাদের দেশে? একটা সিনেমা আপনার মন:পুত নাই হতে পারে। সেজন্য আপনি নির্মাতা-শিল্পী-কলাকুশলীর দিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ চালানোর কি অধিকার রাখেন???
আমরা ভাত মাছ পছন্দ করি বলে কি আমরা বলার অধিকার রাখি পাঞ্জাবীদের রুটি ডাল অখাদ্য!!! রুচির ভিন্নতা থাকতেই পারে, তা বলে হিট সিনেমা মানেই কিন্তু কালোত্তীর্ন মহান সিনেমা নয়।
হলিউড রিপোর্টার, ভ্যারাইটি পত্রিকার কথা ছেড়েই দিলাম; আনন্দবাজার কি সুন্দর করে লিখেছে 'ডুব' সিনেমার রিভিউ।
আবারো ভদ্রতা প্রসঙ্গে বলছি, সমালোচনা করুন ভদ্রভাবে গঠনমূলক কায়দায়। সিনেমা বানায়ে কিন্তু একজন পরিচালক বিশাল কোন অন্যায় করে ফেলে নাই। আপনাদের ইদানীং কালের ভাবভঙ্গি দেখলে মনে হয় সিনেমার পরিচালক সাত খুনের আসামী কিংবা হাজার কোটি টাকা আত্নসাতের দায়ে অভিযুক্ত কোন ফেরারী।
(নির্মাতার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/২৯ অক্টোবর, ২০১৭/ফারজানা