সামিয়া রহমান এর ''যে গল্প নিষিদ্ধ'' অনুষ্ঠান এর এক পর্ব মোবাইল থেকে ইউটিউবে অন করে রান্নাঘরে বাসার কাজগুলো করছিলাম, পাশেই ডাইনিং টেবিল এ আবরাজ- মৌনীরা খাচ্ছিল। (ভালো লাগার অনুষ্ঠানগুলো বা নাটকগুলো এইভাবেই আমার শোনা হয়, সময় স্বল্পতার কারণে)।
যাই হোক, এক পর্যায়ে ওই অনুষ্ঠানের এক অতিথি কাঁদছেন, আমি উনার কথাগুলো শুনছি, আমি আমার হাতের কাজটি পাশে রেখে, মোবাইলটি নিয়ে আমার বেড রুমে এসে বিছানায় বসে এবার উনাকে দেখছি আর শুনছি।
হঠাৎ করেই মৌনীরা আমার কাছে এসে বলল, ''মা, তুমি এই ভিডিওটা দেখবা না প্লিজ, আমার হাতের মোবাইলটি অফ বাটনে চাপ দিয়ে চলে গেলো। কি চলে আমার ছোট্ট মেয়েটির মাথায়? কি বুঝতে পারে ও? কি ভেবে সে আমাকে দেখতে নিষেধ করলো, যা সাধারণত্ব সে করে না কখনও?
শুধুমাত্র মায়েদের আদলে বড় হয়ে যাওয়া শিশুরাই কি আগে-ভাগে ম্যাচিউর হয়ে যায়, যেমনটি আমিও হয়েছিলাম অল্প বয়সে বাবাকে হারানোর পর। অনেক কিছুর অংক ওরা কষতে পারে, শুধু বোঝাতে পারে না।
ইস, ওদের ব্রেইন-এ গিয়ে যদি একটু ঘুরে আসতে পারতাম!!
(ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/২৮ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব