বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফল কেমন হবে তা নিয়ে জনমত জরিপ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে চলতি জুলাই মাসব্যাপী এ জরিপটি করে রিসার্চ ডেভেলাপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)।
জরিপে দেখা গেছে, বরিশালে ৪৪ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫৮ শতাংশ ও সিলেটে ৩৩ শতাংশ মানুষ তিন সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে রয়েছেন। আজ বরিবার দুপুর ১২টায় সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত পোস্টটি দিয়েছেন।
এতে বলা হয়, এবারের নির্বাচনে বরিশালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে রয়েছে ৪৪ শতাংশ জনমত। ১৩.১ শতাংশ মানুষ রয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ারের পক্ষে। অন্যান্য প্রার্থীরা ০.৮ শতাংশ জনসমর্থন পাচ্ছেন। ২৩ শতাংশ মানুষ বলছেন, ভোটের ব্যাপারে তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। আর ১৫.৯ শতাংশ ভোটার কোনো ধরনের মতামত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বরিশালে মোট ১ হাজার ২৪১ ভোটারের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়েছে।
রাজশাহীদের খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে মত দিয়েছেন ৫৮ শতাংশ ভোটার। বিএনপির মোসাদ্দেক হোসাইন বুলবুলের পক্ষে মত দিয়েছেন ১৬.৪ শতাংশ। অন্যান্য প্রার্থীদের প্রতি সমর্থন আছে .৯ শতাংশ মানুষের। এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ১২.৩ শতাংশ। মত প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ৯.৬ শতাংশ। এতে ১২৯৪ ভোটারের মতামত জানতে চাওয়া হয়।
সিলেটে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের প্রতি ৩৩ শতাংশ ভোটার নিজেদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ২৮.১ শতাংশ ভোটার সমর্থন দিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পক্ষে মত দিয়েছেন। বাকি প্রার্থীদের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছেন ১.৩ শতাংশ ভোটার। এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ২৩ শতাংশ ভোটার। ১২.৬ শতাংশ ভোটার নির্বাচন নিয়ে মত প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ১২.৬ শতাংশ। সিলেটে মোট ১১৯৬ জন ভোটারের ওপর জরিপ করা হয়েছে।
জরিপ সম্পর্কে সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে আরও লিখেছেন, ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট শহরের লিঙ্গ ও বয়সভিত্তিক ভোটার তালিকা থেকে সমন্বয় করে জরিপের ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোটার আইডি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনকৃতদের মধ্য থেকে নমুনা নেয়া হয়েছে। সিটি করপোরশেনের ভোটার এমনটা নিশ্চিত হওয়ার পরই তাদের নির্বাচিত করা হয়। এ জরিপে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা +/- ২.৫ শতাংশ।
গত ৫ বছর ধরে আরডিসির সঙ্গে আমি জনমত জরিপ পরিচালনা করে আসছি। তাদের জরিপ পরিচালনা পদ্ধতি ও ফল সবচেয়ে নির্ভুল। অবশ্যই মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা পুরোদমে চলবে এবং ফলাফল জরিপের তুলনায় সামান্য এদিক-সেদিক হতে পারে। যাই হোক, আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে চাই যে বরিশাল, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করবে। সিলেটে আমরা সামান্য এগিয়ে আছি।
বিএনপি তাদের সেই পুরনো সব অভিযোগ এখনো অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু সত্যি কথাটা হলো তারা তাদের জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। উল্টোদিকে গত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য বিএনপির এখন আর মোটেও কোনো হুমকি নয়।
যাই হোক আমি আমার দলের সদস্যদের, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অনুরোধ করবো আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করতে বিএনপির ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট চুরি চেষ্টা সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে। আপনারা সবাই বিএনপি নেতাদের ফোনে রেকর্ড করা কথা শুনেছেন। তাদের প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার সময় বুঝে গেছে তাদের জেতার কোনো সম্ভাবনাই নেই। তাই তারা আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপিয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে চলেছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা