গতকাল বিমানবন্দর সড়কে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত দুইজন শিক্ষার্থী রাজীব এবং মীম-এর অকাল মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। গত সপ্তাহে রাজশাহীর গোদাগাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় আমার ভাতিজি কেয়া, তার দুই শিশু সন্তান, গৃহ পরিচারিকা এবং গাড়িচালক একইসাথে নিহত হয়। স্বজন হারানোর ব্যাথা যে কি নিদারুণ কষ্টের তা আমি বেশ উপলব্ধি করতে পারি। বিশেষ করে এই ধরনের অকাল মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। মহান আল্লাহ তাদের পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দিন। ঘাতক বাস চালককে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। দ্বোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেখ হাসিনার সরকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সর্বদাই সচেষ্ট। পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ৬টি কার্যকরী নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চালক ও তার সহকারীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, দূরপাল্লার যাত্রায় একজন চালককে যেন ৫ ঘণ্টার বেশি একটানা গাড়ি না চালাতে হয় সেজন্য বিকল্প চালক রাখা, নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর সড়কের পাশে সার্ভিস সেন্টার বা বিশ্রামাগার তৈরি করা, অনিয়মতান্ত্রিক রাস্তা পারাপার বন্ধ, সিগন্যাল মেনে চলা এবং চালক ও যাত্রীদের সিট বেল্ট বাঁধা। সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে এই নির্দেশনা দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
#নিয়ম_মেনে_চালাবো_গাড়ি_নিরাপদে_ফিরব_বাড়ি
(তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/৩০ জুলাই, ২০১৮/মাহবুব