শাড়ি পরলেই ইদানীং ছবি তুলতে ইচ্ছা করে! কিন্তু সেলফি তুলতে ভালো লাগে না। ইহাতে সব ছবি একরকম লাগে। পরনে কি- বোঝা যায় না। পেছনে (ব্যাকগ্রাউন্ড) কি- বোঝা যায় না। সবগুলোতে মাথা একই এ্যাঙ্গেলে ‘কাইত’ করা থাকে!
পুত্রদ্বয়কে অনুরোধ করলে অবশ্য তারা ফটোগ্রাফারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। তবে কেবল অনুরোধে আজকাল ঢেঁকি গেলানো যায় না। টুকটাক উপঢৌকন এর প্রতিশ্রুতিও করতে হয়।
তারপরও ছবি তোলার সময় বিশাল চিন্তায় থাকি!
‘ছবি ভালো হইবে তো!!’
‘ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এ লাইক/কমেন্ট ঠিকঠাক আসিবে তো!!!’
বড়পুত্র ফোনের ক্যামেরায় এক আধটা চাপ দিয়ে শুকনা মুখে বলে “হয়েছে”।
তবে ছোটপুত্র’র হাতে পড়লে খবর আছে! হাসিমুখ করলে উনি বলেন ‘গাম্ভীর’ হইতে... ঠ্যাঙ ব্যাকাইয়া দাঁড়াইলে তিনি বলেন “স্ট্রেইট হয়ে দাঁড়াও!”
এইবার বললেন- “সারাক্ষণ ক্যামেরার দিকে তাকায় থাকো কেন মা! ঐ দিকে তাকাও। left hand টা এভাবে wall এ রাখো।”
তারপর একটা মাত্র ক্লিক।
নাহ... এই মাতব্বর পুত্রের জ্বালায় ঘন ঘন ছবি তোলার খায়েশ বাদই দিতে হবে মনে হয়!
বি.দ্র: কমেন্টে তার নির্দেশনার আগে সাধারণ ভঙ্গিমায় আমার স্থিরচিত্র।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন