বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করার আগে ডেকে নেয়ার সময় তার গণিতের খাতাটা খোলাই ছিল। পরে তাকে হত্যা করে তার মরদেহ ফেলে রাখা হয় হলের সিঁড়িতে।
বুয়েটের শেরে বাংলা আবাসিক হলে গিয়ে আবরারের ১০১১ নম্বর রুমে তার পড়ার টেবিলে অঙ্ক খাতাটি উন্মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। উন্মুক্ত সেই খাতাটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই কৌতুহলী মন নিয়ে বলছেন, আবরার কি জীবনের শেষ অঙ্ক মেলাতে পেরেছিলেন!
আবরার খাতায় অঙ্ক অসমাপ্ত রাখলেও ঘাতকরা তার জীবনের অঙ্কের হিসাব শেষ করে দিয়েছে বলেও অনেকে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন।
এছাড়া অনেকেই সেই খাতার পেইজটি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে মেধাবী এই শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।
১০১১ নম্বর এক শিক্ষার্থী বলেন, টিউশনি থেকে ফিরে আবরারকে আর রুমে পাইনি। দেখলাম, খাতাটা পড়ে আছে বিছানায়। খাতায় অঙ্কটাও শেষ হয়নি। সেই অঙ্ক শেষ করার আগেই ছাত্রলীগের হাতে নিমর্মভাবে নিহত হলো সে।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তৃতীয় জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় নিজ বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক কবরস্থানে আবরার ফাহাদকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম