এক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেছে কুমিল্লা শহর। জমে থাকা পানির জন্য রাস্তাগুলোকে মনে হচ্ছে নদী। শহরের হাজার হাজার মানুষের ঘরের ভেতর হাটু পানি। রাতে সাপের কামড়ের আশঙ্কা নিয়েও আনন্দে ঘুমিয়েছেন বহু মানুষ।
জমে থাকা পানির কারণে নতুন রাস্তাগুলোও আবার নষ্ট হবে দ্রুত, সমস্যা কিছু নাই আবারো টেন্ডার হবে। আগের ঠিকাদারই আবার কাজ করবেন, কারণ তারা ইতিমধ্যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
ময়লা কাঁদা-পানিতে থৈ থৈ করছে চারিদিক, ডাস্টবিনের ময়লা পলিথিন ভাসছে শহরময়, কেউ কেউ মনের আনন্দে মাছ ধরছে উঠানে, স্কুল মাঠে ও ড্রেনে। উন্নত বিশ্বের দেশেও এতো আনন্দ সাধারণত দেখা যায় না মানুষের মনে। কারো কোন অভিযোগ নেই, বৃষ্টি দিছেন আল্লাহ, অন্যেরে দোষ দিয়ে কি লাভ?
আগে পিছে কিছু নাই , হঠাৎ একটু জায়গায় ফুটপাত এবং সে ফুটপাত অনেক উচু, যা টাইলস করা চমৎকার। হঠাৎ হঠাৎ এ ধরনের ফুটপাত করার কি মানে আছে? আজ পানি আসায় বুঝলাম, এগুলো করা হয়েছে বন্যা পরিস্থিতিতে যেনো মানুষ একটু উচুতে দাঁড়িয়ে সৌন্দর্য দেখতে পারে সেজন্য!
এ ধরনের সমস্যা, ভালো সমাধানের পথও তৈরি করে। অনেকেই বাসার নিচতলাকে উচু করে কার পার্কিং করার কথা ভাবছেন। এতে করে যানজটও কমবে ভবিষ্যতে। তাছাড়া এ পানিতে ধুয়ে মুছে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, রাস্তায় পড়ে থাকা কাগজ, প্লাস্টিক বোতল,ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনা , এটা খারাপ নাতো!
বিশ্বের অন্যতম ধুলিময় শহরে আজ ধুলা বালি নেই। রেস্টুরেন্ট এর খাদ্যের সাথে আজ রাস্তার বালি না মেশার কারণে রেস্টুরেন্টের খাদ্যের মান সামান্য খারাপ হতে পারে, এছাড়া সব ভালোই হচ্ছে।
নতুন ভাবে নির্মাণ ও সরু করা ড্রেনগুলোতে সিমেন্ট কম দেয়ায়, সেগুলো সিমেন্ট এবং তিন নম্বর সুর্কিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায়, জনগণ এই লকডাউনেও জোয়ার ভাটা দেখে বিমলানন্দ লাভ করছে।
আসলে আমরা অনেক প্রজেটিভ চিন্তা করতে শুরু করতে পারছি এটা হচ্ছে আশার কথা।
যেমন বড় বড় সৎ নেতারা আজ শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আগে কর্মীরা নেতাদের সততার কথা বলতেন, নেতা বিনয়াবনত চিত্তে চুপ থাকতেন, এখন নেতা নিজেই নিজেকে সৎ বলেন, কর্মীরা চুপ থাকে! এতটুকুই পার্থক্য।
তবে দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তা নেতাদের ও চামচাদের এবং নেতাদের পরিবারের অতি দূরের সদস্যদের গাড়ি দেখলেই বুঝা যায়, গাড়িগুলো ঝকঝকে তকতকে। তাদের রুচিও আছে আসলে!
এগিয়ে গেছে প্রিয় কুমিল্লা। রাস্তার পাশে বড় বড় ভবনগুলো নিয়েই সামান্য দুশ্চিন্তা, এগুলো বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় কিনা!
লেখক : সদস্য, তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/শফিক