নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে নিখোঁজের এক দিন পর সাত বছরের এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর বিবস্ত্র লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে চাটমোহরের রামপুর বিলের একটি ভুট্টা খেতে তার লাশ পাওয়া যায়। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর পরনের প্যান্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অ্যাসিড দিয়ে তার মুখও ঝলসে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার, চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম ও বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, হত্যার শিকার জুঁই খাতুন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিরুল ইসলামের মেয়ে ও গাড়ফা আজেদা নূরানি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শিশুটির মা মোমেনা খাতুন বলেন, ‘সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে মেয়ে আমার দাদির বাড়িতে বেড়াতে যায়। মেয়ে বলেছিল সে দাদির হাতে রান্না করা সেমাই খাবে এবং রাতে সেখানেই থাকবে। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে মেয়ে ওখানে যায়নি। এরপর চারদিকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গতকাল সকালে ভুট্টার জমিতে মেয়ের লাশ পড়ে থাকার খবর পাই।’ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে রামপুর বিলের একটি ভুট্টা খেতে ওই শিশুর বিবস্ত্র লাশ পড়ে আছে। মুখে পোড়া ক্ষত কালো চিহ্ন। পরনের প্যান্ট গলায় পেঁচানো।
এদিকে, শিশুটিকে পৈশাচিকভাবে হত্যার ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকাবহ পরিবেশ। এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া গেছে, তার বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায়, লাশ উদ্ধার হয়েছে চাটমোহরের সীমানায়।
এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আর সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা এবং মুখ অ্যাসিডে পোড়ানো হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে।