করোনাভাইরাসের মুখোমুখি হয়েও উপসর্গহীন যারা, তাদের সুপারস্প্রেডারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে এখন। সিঙ্গাপুরের এক গবেষণা এ ব্যাপারে নতুন আলোকপাত করেছে। গবেষক প্রধান দিব্য রাজ গোপাল বলছেন, করোনা চিকিৎসা ও অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনে এই গবেষণার ফল সহায়ক হতে পারে।
কাকে আমরা বলি উপসর্গহীন লোক? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যার কোনও উপসর্গ নাই এদের বলা যায় উপসর্গবিহীন ব্যক্তি। এপ্রিলে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নথি উল্লেখ করে বলা যায়, এমন ব্যক্তি থেকে সংক্রমণের দৃষ্টান্ত নেই। অবশ্য এ নথি সংক্রমণ ছড়ায় না- এমন কথাও প্রমাণ করে না।
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজেস দেখেছে, স্থানীয় সংক্রমিত ১৫৭ রোগীর মধ্যে ৬.৪ শতাংশ হল প্রাক উপসর্গ সংক্রমণ তবে উপসর্গহীন সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। চীন থেকে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা যায়, উপসর্গহীন চার রোগী থেকে সংক্রমণ ছড়ায়নি। দক্ষিণ কোরিয়াতে এমন পর্যবেক্ষণ হয়েছে ১৮০টি ক্ষেত্রে এদের কারও থেকে সংক্রমণ ঘটেনি। ভারতের কর্ণাটকে উপসর্গ নেই এমন ব্যক্তিদের প্রতি নিয়ম-কানুন শিথিল করা হয়েছে।
গত ১২ মে ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল জানায়, উপসর্গহীন আর প্রাক উপসর্গ সংক্রমণের নথিভুক্ত প্রমাণ থাকলেও সংক্রমণ বিস্তারে এদের ভূমিকা জানা যায়নি।
পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত এপিডেমিওলোজিসট গিরিধারা বাবু বলেন, আগে সুপারস্প্রেডারদের চিহ্নিত করতে হবে। এতে সেকেন্ডারি ট্রান্স মিশন হয়েছে এমন ৮০ শতাংশ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা