শরীরে ভিটামিন ডি'র ঘাটতি হলে শিশুদের রিকেট রোগ হয় অর্থাৎ পা বেঁকে যেতে পারে, মাথার খুলি বড় হয়ে যেতে পারে। বেশিদিন এই রোগে ভুগলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিও ব্যাহত হতে পারে। এছাড়াও অকালে ডায়াবেটিস টাইপ-১, হৃদরোগ, বয়স্কদের হাড় জনিত ক্ষয়রোগ, ক্যান্সার হতে পারে। ক্যালশিয়ামের শোষণ ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন ডি।
ভিটামিন ডি আসলে একটি স্টেরয়েড হরমোন যা শরীরে প্রোটিন তৈরিতে নিয়ন্ত্রণকারীর ভূমিকায় থাকে। গবেষণায় আরও জানা গেছে, গড়ে দুইটি ডিমের পরিবেশন করে ভিটামিন ডি ৮.২ এমসিজি থাকে, যা শরীরের ভিটামিন ডি'র প্রস্তাবিত ডায়েট গ্রহণের একটি যথেষ্ট অংশ রয়েছে। ডিমের কুসুম, তৈলাক্ত মাছ, লাল মাংস, যকৃৎ, মাশরুম এই কয়েকটি সংখ্যক খাবারেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
এছাড়াও সুস্থ থাকতে দৈনিক ১৫ মিনিট রোদে থাকা ভালো। দেহের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবে, তত বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে রোদে থাকার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ বেশি পাওয়া যায়। তবে সানস্ক্রিন ছাড়া দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড রোদে থাকলে স্কিন ক্যান্সার হতে পারে।
রোদ ছাড়া কিছু খাবার থেকেও আমরা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি। যার মধ্যে রয়েছে- ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’, ‘ই’ এবং ‘কে’ সমৃদ্ধ ডিমের কুসুম, মাশরুম ভিটামিন-ডি'র একটি আদর্শ উৎস। বিভিন্ন তরকারির মধ্যে মাশরুম ব্যবহার করলে তা যেমন স্বাদে উন্নত হয়, একই সঙ্গে তরকারির পুষ্টিগুণও বাড়ে।
পনির একটি মজাদার খাবার। একই সঙ্গে পনিরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ডি। কাঁচা পনিরে ভিটামিন-ডি’র পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে। আর সব মাছেই ভিটামিন ডি থাকে। প্রতিদিনের খাবারে এসব আইটেমের যে কোনোটি রাখার চেষ্টা করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন-ডি’র কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির