বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ তাদের অষ্টম প্রতিবেদন, ‘কোভিড-১৯ ইন বাংলাদেশ : দ্য ফাস্ট টু ইয়ারস অ্যান্ড লুকিং অ্যাহেড’ (বাংলাদেশে কোভিড-১৯ : প্রথম দুই বছর ও সামনের দিনগুলো) প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনটির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন’র অডিটোরিয়ামে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. আহমেদ মুশতাক রাজা চৌধুরী, বিএইচডব্লিউ-এর আহ্বায়ক, অধ্যাপক ডা. বে-নাজির আহমেদ, ডিজিএইচএস রোগ নিয়ন্ত্রণের সাবেক পরিচালক, ড. মোহাম্মদ মুস্তাক হুসাইন, উপদেষ্টা আইইডিসিআর, ড. মোর্শেদা চৌধুরী, পরিচালক এইচএনপিপি, ব্র্যাক, ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, ভাইস-চ্যান্সেলর বিএসএমএমইউ এবং অধ্যাপক ড. রওনাক জাহান, আহ্বায়ক, উপদেষ্টা গ্রুপ, বিএইচডব্লিউ।
এই প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ এর শুরুর দিকে এর মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীজনদের গ্রহণ করা ব্যবস্থার কথা তুলে ধরা হয়েছে এবং এর ভুলগুলো খুঁজে বের করা হয়েছে। এছাড়া ভুল থেকে কী শিক্ষা পাওয়া গেল সে কথাও বলা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় পূর্বের ভুল থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার আলোকে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে করণীয় বিষয়গুলোর কথা তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের আহ্বায়ক ড. আহমেদ মুশতাক রাজা চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যখাতে মনোযোগ অনেক কম। তাই প্রতি বছর বাজেটে বরাদ্দ অনেক কম দেখা যায়। আমাদের সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত।
আলোচক বে-নজির বলেন, ‘এই বইটি আমাদের জন্য ভাল একটি রিসোর্স বই হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ করে যারা জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন। উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য সমার্থক, উন্নয়ন স্বাস্থ্যকে বাদ দিয়ে করা যাবে না। প্রফেসর বে-নজির প্রতিবেদনটির প্রত্যেকটি অধ্যায়য়ের বিশ্লেষণ করেন এবং বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যকে মূলধারার আওতায় আনার জন্য তিনি জোর দেন।
আলোচক ড. মোহাম্মদ মুস্তাক হুসাইন বলেন, আমাদের করোনাকালীন প্রস্তুতি অনেক ভাল ছিল এবং এই কারণেই আমাদের মৃত্যুহার অনেক কম দেখা গেছে অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায়। বাংলাদেশে পাবলিক হেলথ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
উপস্থিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. শরফুদ্দুন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের করোনাকালীন ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো ছিল। করোনা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। এই করোনায় অনেক ডাক্তার নিয়োগ হয়েছে।’
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ড রওনক জাহান। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, হেলথ ওয়াচের আগের প্রতিবেদনগুলোর রিকমেন্ডেশনগুলোর কোনো প্রতিফলন আমরা বাস্তবে দেখতে দেখতে পাই না। সুতরাং আমাদের মনিটরিং করা প্রয়োজন। প্রতি বছর স্বাস্থ্যখাতে যে বাজেট ধরা হয়, তা পুরোটা ব্যয় হয় না, যেখানে অন্যসব খাতে বরাদ্দ বাজেট ব্যয় হয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই