সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট আইএস'র বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার বিতর্ক শেষে এ অনুমোদন মিলে। নিম্নকক্ষের ৩৯৭ জন সংসদ সদস্য সিরিয়ায় আইএস'র বিরুদ্ধে ব্রিটেনের বিমান হামলার পক্ষে ভোট দেন। এমনকি বিরোধী দল লেবার পার্টির ৬৬ জন সদস্যও বিমান হামলা চালানোর পক্ষে ভোট দেন। আর এর বিপক্ষে ভোট দেন ২২৩ জন সংসদ সদস্য। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সরকার আইএস'র বিরুদ্ধে হামলার বিষয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন কারণ বিরোধী লেবার পার্টিসহ ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরাও এর বিপক্ষে অবস্থান দেখিয়ে আসছিলেন। বিরোধী লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন প্রথম দিকে কঠোর অবস্থানে থাকলেও শেষ দিকে কিছুটা নমনীয় হোন। ফলশ্রুতিতে লেবার দলের কেউ কেউ হামলার পক্ষে ভোট দিতে অনুপ্রাণিত হন। তবে পার্লামেন্টের কতজন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন তা জানা যায়নি। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের
পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়ার পরপরই অাইএস'র বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করেছে ব্রিটেন। সাইপ্রাসে অবস্থিত ব্রিটিশ রয়াল বিমান বাহিনীর আক্রোটিরি বিমান ঘাঁটি থেকে চারটি টর্নেডো জেট অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিমানগুলোর প্রতিটিতে পাঁচশ পাউন্ড ওজনের তিনটি করে পেভওয়ে বোমা ছিল। উড্ডয়নের তিন ঘণ্টার বেশি সময় পর বোমাবিহীন অবস্থায় বিমানগুলোর মধ্যে ২টি ফের ঘাঁটিতে অবতরণ করে। তবে এসব বিমানের টার্গেট কি ছিল এ ব্যাপারে কিছুই জানায়নি ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অাজ বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানোর কথা রয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডও অাইএস'র বিরুদ্ধে অপারেশনের বিষয়ে বিচ্ছিন মন্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে পার্লামেন্টের অনুমোদন পেলে বৃহস্পতিবারের শুরুতেই সিরিয়ায় অাইএস'র বিরুদ্ধে হামলার আভাস দিয়েছিলেন তিনি। পার্লামেন্টের হাঁ ভোটের মাধ্যমে ব্রিটেন অধিকতর নিরাপদ হলো জানিয়ে নিম্নকক্ষের ভোটকে স্বাগত জানিয়েছেন মি. হ্যামন্ড।
এদিকে, সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, ব্রিটেনের টর্নেডো বোমারু বিমান আজ বৃহস্পতিবার সাইপ্রাস থেকে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে প্রথম বিমান হামলা চালিয়েছে। একটি সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে একথা জানায় তারা। তবে ওই সূত্র তার নাম প্রকাশ করেনি।
বিডি-প্রতিদিন/৩ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ