দূষিত বাতাসের কারণে বেইজিংয়ে চতুর্থ দিনের মতো 'রেড অ্যালার্ট' চলছে। ধোঁয়া আর ধুলি মিশ্রিত বাতাসে চীনের আকাশ এখন দিনেও অন্ধকারাচ্ছন্ন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ, বিপনী বিতান, ব্যবসাকেন্দ্র। নিঃশ্বাস নিতে গেলে বুক ভার হয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে চীনের অনেক নাগরিক এখন অর্থ খরচ করে কানাডার বিশুদ্ধ বাতাস কিনছে।
চীনের বেইজিং এর বাসিন্দা লি থানকিনের তিনবছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়ের জন্য কিছুটা বিশুদ্ধ বাতাস যোগাড় করতেই তিনি ক্যানে করে কানাডার রকি পর্বতের বাতাস কিনেছেন। শুধু লি থানকিন নয়, বেইজিংয়ের অনেক বাসিন্দা এখন নিজের আর পরিবারের সদস্যদের জন্য কানাডার রকি পর্বতের বিশুদ্ধ বাতাস কিনছে।
লি থানকিন বলছেন, কানাডার দু'জন তরুণ ক্যানে করে এই বাতাস এনে বিক্রি করছেন। সন্তানকে কিছুটা পরিষ্কার বাতাস দেওয়ার জন্যই তাদের কাছ থেকেই তিনি ক্যান কিনে আনেন।
ক্যানটির মুখে বাতাস নেওয়ার জন্য একটি রাবারের ঢাকনি রয়েছে। সেটি খুলে সেখানে মুখ লাগালেই বাতাস নেওয়া যায়। থানকিন বলছেন, এর মাধ্যমে আমার মেয়েকে রকি মাউন্টেনের বিশুদ্ধ বাতাস দিতে পারছি। কারণ আমার সন্তানের জন্য আমি সবকিছুই করতে পারি।
তবে এটা সমস্যার কোন সমাধান বলে মনে করেন না লি থানকিন। তিনি বলেন, সারাক্ষণ বেইজিংয়ের বাতাসে থাকতে থাকতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এখানে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে গেছে। সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/২২ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ