বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক দূরনিক্ষেপণ ও অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি হচ্ছে মিসাইল। পারমানবিক প্রযুক্তি বহন করে এ মিসাইলের মাধ্যমে নিমিষেই গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হাজার হাজার বছরের সাধনায় গড়ে তোলা মানব সভ্যতাকে। তাই বর্তমান বিশ্বে পরাশক্তির মেরুদণ্ড হচ্ছে এ মিসাইল। ভারতের হাতে যেসব আক্রমণাত্মক মিসাইল রয়েছে পাঠকদের সামনে সেগুলো তুলে ধরা হলো।
১. পৃথ্বী : এটি একটি সার্ফেস টু সার্ফেস ব্যালিস্টিক মিসাইল
পৃথ্বী-১: রেঞ্জ- ১৫০ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ১০০০ কেজি পরমাণু ওয়ারহেড।
পৃথ্বী-২: রেঞ্জ- ৩৫০ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ৩৫০-৭৫০ কেজি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড।
২. ধনুষ: রেঞ্জ- ৩৫০ কিলোমিটার।
৩. অগ্নি: এটি একটি লং রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল।
অগ্নি-১: রেঞ্জ- ৭০০ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ৭৫০-১০০০ কেজি ওয়ারহেড
অগ্নি-২: রেঞ্জ- ২০০০ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ১০০০ কেজি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড।
অগ্নি-৩: রেঞ্জ- ৩০০০ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ২০০০-২৫০০ কেজি ওয়ারহেড।
অগ্নি-৪: রেঞ্জ- ৩৫০০ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ৮০০-১০০০ কেজি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড।
অগ্নি-৫: রেঞ্জ- ৫৫০০-৫৮০০ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ১৫০০ কেজি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড।
অগ্নি-৬: রেঞ্জ- ৬০০০-৮০০০ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ১০০০ কেজি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড।
৪. K সিরিজের সাবমেরিন লঞ্চড মিসাইল
K-15, রেঞ্জ- ৭৫০ কিলোমিটার।
K-4, রেঞ্জ- ৩০০০ কিলোমিটার।
৫. আকাশ মিসাইল: রেঞ্জ- ২৫ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ৬০ কেজি ওয়ারহেড
৬. ত্রিশুল: রেঞ্জ- ৯ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ৫.৫০ কেজি ওয়ারহেড।
৭. নাগ: রেঞ্জ- ৩-৭ কিলোমিটার। বহন ক্ষমতা- ৮ কেজি অ্যান্টি-ট্যাংক ওয়ারহেড।
৮. ব্রহ্মোস: রেঞ্জ- ২৯০ কিলোমিটার।
বিডি প্রতিদিন/ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম