কাশ্মীরি যুবকদের উপস্থিতি বাড়ছে জঙ্গি দলে। তবে কেন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে অথবা কেনই বা তারা ওই সংগঠনে নাম লেখাচ্ছে, সে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় হাতে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে দেখা গেছে, গত সাত বছরের মধ্যে এ বছরই সব থেকে বেশি সংখ্যক যুবক কোনো না কোনো দেশ-বিরোধী জঙ্গি সংগঠনে নিজের নাম লিখিয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান এবং কিছু জেহাদি সংগঠনের নিরন্তর প্রচারে পথভ্রষ্ট হচ্ছে স্থানীয় যুবকরা। তার উপর রয়েছে ধর্মীয় ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে ভারত-বিদ্বেষ তৈরি করার চেষ্টা। তবে একবার জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়ে পুনরায় স্বাভাবিক সমাজজীবনে ফিরে আসার নজিরও রয়েছে এ বছরে।
তথ্য থেকে জানা গেছে, এ বছর নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ১০০-রও বেশি যুবক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে নাম লিখিয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত বছর ২০১৬-তে এই সংখ্যা ছিল ৮৮, ২০১৫-তে ৬৬ এবং ২০১৪-তে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত হয় ৫৩ জন কাশ্মীরি যুবক। ২০১৩-তে আফজল গুরুর ফাঁসির প্রসঙ্গ টেনে এনে বিশ্লেষকরা বলছেন, ওই বছর কাশ্মীরে বিক্ষিপ্ত উত্তেজনা থাকলেও মাত্র ১৩ জনের সন্ধান মিলেছে, যারা দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে। এভাবে সাত বছর পিছিয়ে গেলে দেখা যাচ্ছে, এ বছরের মতো এত বেশি নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়নি এই সময় কালে।
সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি৷সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে নাম লেখানো মোট যুবকের মধ্যে ৭৫ শতাংশের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরের জেলাগুলি থেকে। এদের মধ্যে এনকাউন্টারের মারা গিয়েছে ২৫ জন। আবার এক ডজন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের অশান্ত পরিস্থিতিকে বাগে আনতে একটি দ্বিমুখী নীতি নিয়েছে ভারত সরকার৷ জঙ্গি দলে নাম লেখানো যুবকদের বলা হয়েছে, তারা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসলে তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নেওয়া হবে, দেওয়া হবে চাকরিও৷ তবে তাতেও কাজ হচ্ছে না৷
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর সেভেন
বিডি প্রতিদিন/২৫ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল