যুদ্ধটা হয়েছিল প্রায় ২০০ বছর আগে। সেই যুদ্ধ নিয়েই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে ভারতে। হিন্দুত্ববাদী ও দলিত সংগঠনগুলির মধ্যে সেই সংঘর্ষে নতুন বছরের প্রথম দিন একজন মারাও গেছে। ভারতের মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়েছে। হাজারে হাজারে দলিত শ্রেণীর মানুষ মুম্বাই শহরের উপকণ্ঠসহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন রাস্তায় নেমেছেন।
মঙ্গলবার প্রায় দেড়শটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। বহু জায়গায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। ট্রেন ও বিমান চলাচল বিঘ্নিত ছিল সারাদিন। বুধবার মহারাষ্ট্রে রাজ্যব্যাপী বনধের ডাক দিয়েছেন দলিত নেতা প্রকাশ আম্বেদকার এবং আটটি দলিত সংগঠন।
ঘটনার শুরু পুণে শহর থেকে। সোমবার দলিত সংগঠনগুলি পুণেতে এক বিশাল সমাবেশ করেছিল ২০০ বছর আগের এক যুদ্ধ জয়ের বিজয় দিবস পালন করতে।
ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধ নামে পরিচিত ওই যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনী পুণের ব্রাহ্মণ পেশোয়া রাজাদের পরাজিত করেছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাহিনীতে বেশিরভাগ সদস্যই ছিলেন 'মাহার' নামক দলিত শ্রেণীর মানুষ।
ব্রাহ্মণ রাজাদের বিরুদ্ধে সেই যুদ্ধজয়কে দলিত সংগঠনগুলি এখন পালন করতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী আর এস এস-এর মতাদর্শের বিরুদ্ধে জয় হিসাবে। ওই সমাবেশে গুজরাতের দলিত নেতা জিগনেশ মেওয়ানী, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা উমর খালিদ সহ জাতীয় স্তরের দলিত নেতা নেত্রীরা হাজির ছিলেন। সেখান থেকেই একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা পাথর ছোঁড়েন - যার জেরে শুরু হয় সহিংসতা ।
ধীরে ধীরে তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের অন্যান্য এলাকাতেও। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী দেভেন্দ্র ফড়নবীশ, অন্যদিকে দলিত নেতৃত্ব - দুই পক্ষেই শান্তি বজায় রাখার আবেদন করা হচ্ছে। সোমবারের হিংসাত্মক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
বিডি প্রতিদিন/৩ জানুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা